গাজীপুরের কাশিমপুরে একটি বেসরকারি স্কুলের ভেতরে আটকে ১৩ বছর বয়সী মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁয় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে সকালে এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে কাশিমপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় নওগাঁ সদর থানার রজাকপুর এলাকার মো. নজরুল ইসলাম লিটনের ছেলে সম্রাট হোসেন শান্ত (২০) এবং একই থানার ভবানীপুর এলাকায় মো. আলীম হোসেন আলেকের ছেলে শাকিল আহম্মেদকে (২২) আসামি করা হয়।
ভিকটিমের বাবা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন তেঁতুইবাড়ী এলাকায় তাদের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থেকে আচার বিক্রি করতো তারা। তাদের গ্রামের বাড়ি নওগাঁ। ভিকটিমের মা স্থানীয় একটি ক্লিনিকে আয়ার কাজ করেন। মেয়ে সেখানে একটি মাদ্রাসায় হেফজ শাখার ছাত্রী। বুধবার সকালে মেয়েকে বাসায় একা রেখে তারা স্বামী-স্ত্রী কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান। দুপুরে বান্ধবীদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজে বাসায় ফেরার পথে তাকে জোর করে ধরে পাশের একটি টিন-শেডের ব্র্যাক স্কুলের ভেতর নিয়ে যায়। পরে পালাক্রমে সম্রাট হোসেন ও শাকিল আহম্মেদ ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এসময় তার চিৎকারে প্রতিবেশী কয়েকজন নারী তাকে উদ্ধার করে।
সন্ধ্যায় মা ও বাবা বাড়িতে ফিরে ঘটনাটি জানতে পারে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে কাশিমপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের ডিসি ক্রাইম (উত্তর) শরিফুর রহমান জানান, ভিকটিমকে পরীক্ষা করাতে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও দুপুরে নওগাঁয় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক মাজহারুল হক জানান, ভিকটিমের শরীরে ধর্ষণের প্রাথমিক সিমটম পাওয়া গেছে। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।