সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছেন বিল গেটস এবং মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। তবে এক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, ২০১৯ সাল থেকেই সম্পর্কে ভাঙন ধরতে শুরু করেছিল। কারণ ওই বছর অক্টোবরে মেলিন্ডাকে আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গেছে। আসলে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে বিল গেটসের যোগাযোগকে কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি মেলিন্ডা।
মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দাবি করেছে, জেফরি এপস্টেইনের বিরুদ্ধে শিশু, কিশোর পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এই শিশু কিশোরদের নাকি যৌন দাস হিসেবে ব্যবহার করা হত। এমনকি তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে। একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর বিচারাধীন অবস্থায় ২০১৯ সালের আগস্টে জেলেই তার মৃত্যু হয়। তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানা গিয়েছিল।কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে বিল গেটসের যোগযোগ ছিল বলে অভিযোগ। এমনকি বিল গেটস, জেফরির ম্যানহাটন, নিউ ইয়র্কের বাড়িতে একাধিকবার দেখা করেছেন। সময় কাটিয়েছেন বলে অভিযোগ।
যদিও বিল গেটসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, জেফরির সঙ্গে বিলের যোগাযোগ কেবল আর্থিক কারণেই ছিল। তবে মেলিন্ডা নাকি ২০১৩ সাল থেকেই বিল এবং জেফরির যোগাযোগের বিষয়টি জানতেন। এ নিয়ে মেলিন্ডা মোটেই স্বস্তি বোধ করতেন না, বরং উদ্বেগে ছিলেন। শেষে বিষয়টি প্রকাশ্যে এসে যায়। এরপর মেলিন্ডা বিচ্ছেদের কথা ভাবতে শুরু করেন। আইনজীবীদের সঙ্গেও পরামর্শ করছিলেন বিষয়টি নিয়ে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল তার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে আরও দাবি করেছে, ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকেই গেটস দম্পতির মধ্যে বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। অবশেষে ২৭ বছরের সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ৩ মে। করোনা মহামারীর সময়ে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদের সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা যায়। তবে এখন প্রশ্ন, তাদের বিপুল সম্পত্তির ভাগাভাগি কীভাবে হবে। সময় হয়তো সেই উত্তর দেবে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, পলিটিকো, ভ্যানিটি ফেয়ার