চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনশ্চিয়তা। এ অবস্থায় পরীক্ষার বিকল্প নিয়ে কাজ করছে ১১ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল। তবে পরীক্ষা নিতে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় মন্ত্রণালয়। করোনা সংক্রমণ হার ১০ শতাংশের নিচে নামলেই পরীক্ষা আয়োজন করা হবে বলে জানা গেছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কোনোভাবেই অটোপাস দেয়া হবে না। প্রয়োজনে নম্বর কমিয়ে কিংবা এমসিকিউয়ের মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়া হবে। সংক্রমণ পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে নামলেই পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, মূল্যায়নের মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। এই প্রক্রিয়া ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা হবে। তবে ডিসেম্বরের মধ্যে যদি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, তখন বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার সাথে অনেক কিছুই সম্পৃক্ত। অটোপাস দিলে অনেক ঝামেলা হয়। সেজন্য এবার আর অটোপাস দেয়া হবে না। প্রয়োজনে নম্বর কমিয়ে অথবা শুধু এমসিকিউয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। এজন্য একটি কমিটি কাজ করছে। কমিটির প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়ে চূড়ান্তভাবে জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় চলকি বছর এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১১ সদস্যের এই কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে আন্ত:শিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদকে। এছাড়া কমিটিতে বুয়েট, ঢাবিসহ আরও কেয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন।