রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এলএসডিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও থানা পুলিশ। শনিবার (২৯ মে) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা সবাই বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তারা হলো, সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফ (২০), এসএম মনোয়ার আকিব ওরফে আনান (২০), নাজমুস সাকিব (২০), নাজমুল ইসলাম (২৪) ও বিএম সিরাজুস সালেকীন ওরফে তপু (২৪)।
তাদের কাছ থেকে দুই হাজার মাইক্রোগ্রাম ওজনের ১২ পিস ব্লটার পেপার, এলএসডি বিক্রির নগদ ৪৬ হাজার টাকা, একশ মার্কিন ডলার, গাঁজা, মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (৩০ মে) মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আ. আহাদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর মালিবাগ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে সাইফ, আনান ও সাকিবকে আটক করা হয়। এ সময় সাইফের কাছ থেকে এলএসডি মিশ্রিত তিন পিস ব্লটার পেপার, আনানের কাছ থেকে এক পিস ব্লটার পেপার ও সাকিবের কাছ থেকে এক পিস ব্লটার পেপার উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাজমুল ও তপুকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকেও ছয়টি ব্লটার পেপার ও গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
উপ-কমিশনার জানান, গ্রেফতারকৃতরা এক বছর ধরে এলএসডি মাদক সেবন ও ব্যবসা করে আসছিলেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে এলএসডি মাদক কিনে কুরিয়ার ও বিভিন্ন ব্যাগেজের মাধ্যমে দেশে আনতো। এলএসডি মাদক সেবন ও বিক্রি চক্রে আরও অনেক সদস্য রয়েছে। তাদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে উপ-কমিশনার আব্দুল আহাদ বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা চৌদ্দ-পনেরটি এলএসডি মাদক সেবন ও বিক্রির গ্রুপের সন্ধান পেয়েছি। যে পাঁচ জন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা এলএসডি মাদক সেবনের পাশাপাশি ব্যবসা করতো। আমরা অন্যান্য গ্রুপকে শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।
এর আগে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের মৃত্যু তদন্ত করতে গিয়ে দুইশটি এলএসডি মাদক মিশ্রিত ব্লটার পেপার উদ্ধার ও তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এলএসডি মাদক পুরনো হলেও সম্প্রতি বাংলাদেশে এর ব্যবহার শুরু হয়েছে। কয়েক বছর ধরে উচ্চবিত্ত ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত তরুণরা ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এলএসডি মাদক কিনে এনে বিক্রি করছে।