করোনাকালীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নজিরবিহীন ভূমিকায় ব্যাপক প্রভাবিত হয়েছেন প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র চীন।
কল্যাণধর্মী রাজনীতির নতুন ধারা চর্চা করায় তারা ইসলামী আন্দোলনের প্রতি দিনদিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় সহযোগী হল চায়না। তারা দেশের সবচেয়ে বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে অর্থায়ন করছে এবং বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা পালন করছে।
ইউরোপ-আমেরিকাসহ তথাকথিত উন্নত বিশ্বের নাগরিক এবং কূটনীতিকরা যখন করোনাকালীন সময় বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছেন, তখন চায়নার কূটনীতিকগণ বাংলাদেশের নাগরিকদের নানা ভাবে সহযোগিতা করে চলেছেন।
গতকাল সোমবার চায়না রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকাস্থ চায়না দূতাবাসে যান।
প্রতিনিধিদলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুুুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান সহ কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী ছিলেন।
প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দূতাবাসের গার্ডেনে বসে দীর্ঘক্ষণ মতবিনিময় করেন, দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর এবং ডেপুটি চিফ অফ মিশন মিঃ ইয়ান হুয়ালং এবং পলিটিকাল রিসার্চ অফিসার মিঃ মোরশেদ আলম।
মতবিনিময় কালে নেতৃবৃন্দ করোনা কালীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জনসচেতনামূলক কর্মকাণ্ড, ত্রাণ তৎপরতা, চিকিৎসা সেবা এবং মৃতের দাফন কাফন ও সৎকারসহ বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরেন।
তারা এসব গণমুখী এবং মানব সেবামূলক কর্মকান্ডে উৎসাহবোধ করেন।
তারা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর পীর সাহেব চরমোনাই এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কে চিনের মহামান্য প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং -এর পক্ষ থেকে ৪০ হাজার মাস্ক, কিছু এম ৯৫- মাস্ক, পিপিই এবং সার্জিকেল পিপিই প্রদান করেন।