স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে অনুষ্ঠিত ইশা ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে পুলিশের বাধা এবং ব্যানার ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
আজ (সোমবার) এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। বিশ্বের পরাশক্তিগুলোও নিজেদের আখের রক্ষা করতে পারেনি, এ সরকারও পারবে না। নেতৃদ্বয় বলেন, ইশা ছাত্র আন্দোলন আজ সারাদেশে জেলা শাখাসমূহে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করছিল। কিন্তু শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনকালে ঢাকা মহানগর পূর্ব, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইলসহ বেশ কয়েকটি জেলা শাখার আজকের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন প্রশাসনের নগ্ন হস্তক্ষেপের শিকার হয়। পুলিশ প্রোগ্রামের ব্যানার ফেস্টুন ছিনিয়ে নেয়া, টেনে হিচড়ে ছিড়ে ফেলাসহ আমাদের নেতাকর্মীদের উপর অশ্রাব্যতা, হেনস্থা করার মত ন্যক্কারজনক আচরণ কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। সরকার পুরোদেশকে পুলিশের রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সবাই। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সারাদেশে যখন সব ধরণের কার্যক্রম চলছে তখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে কেন বিগত ১৬ মাস যাবত বন্ধ রাখা হয়েছে এর কোন যৌক্তিক কারণ সরকার এখন পর্যন্ত দেখাতে পারেনি। এমতাবস্থায় পুনরায় লকডাউন বৃদ্ধির আলোচনা চলছে। চলমান এই লকডাউনে আন্ত-জেলা যাত্রী পরিবহন সচল, প্রশাসনিক সামাজিক সকল প্রকার কার্যক্রম চলছে দেদারসে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের পঙ্গু করার লকডাউনের যৌক্তিক কোন কারণ নেই। যৌক্তিক আন্দোলনে পুলিশী এ্যাকশন জনগণের সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকার খর্ব করেছে। তারা অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান।