হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা বাবুনগরী বলেছেন, রমজানের দিনে নিরপরাধ আলেম ওলামাদের ওপর অন্যায়ভাবে জুলুম আল্লাহ বরদাশত করবেন না।
তিনি বলেন, আলেম ওলামারা সারাদিন রোজা রেখে ইফতার করবেন তার সুযোগ দিচ্ছেন না। তারাবির নামাজ থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। সারারাত বাহিরে বাহিরে লুকিয়ে থেকে সেহরি খেতে আসেন, ওখান থেকেও তুলে নিয়ে যাচ্ছে। রাতে ঘরে ঘরে তল্লাশির নামে মহিলাদের কষ্ট দিচ্ছে; নিরপরাধ সাধারণ জনগণকেও হয়রানি করা হচ্ছে।
শুক্রবার দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার বড় মসজিদ বাইতুল করিমে জুমাপূর্ব বয়ান করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, হাটহাজারী মাদ্রাসার শাইখুল হাদিস ও শিক্ষাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
দীর্ঘ ৫০ মিনিটের বয়ানে আল্লামা বাবুনগরী রোজার ফজিলত, প্রয়োজনীয় মাসায়িল, ইতিকাফসহ নানা বিষয়ে কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা করেন। এ সময় রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় মানুষকে পাপাচার, জোর-জুলমসহ সবধরনের অন্যায় কাজ থেকে দূরে থাকার উপদেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার, প্রশাসন, জনগণ সবাইকে নসিহত করছি। আল্লাহকে ভয় করুন। তার আজাবকে ভয় করুন। হাশরের দিনের পাকড়াওকে ভয় করুন। এ জুলুমের শেষ একদিন হবে, পৃথিবীতে কোনো জালিম চিরস্থায়ী হয়নি।
ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উদ্দেশে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, চলমান সংকট নিরসনে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যেখানে যা করা দরকার ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে পরামর্শক্রমে তাই করা হচ্ছে। আপনারা ধৈর্যহারা হবেন না। সবুর করুন। দোয়া ও ইসতিগফার পড়ুন। আল্লাহতায়ালা উত্তম বদলা দিবেন।
বিপদ-আপদ থেকে সুরক্ষিত থাকতে এ রমাদানে মুসল্লি ও ইতিকাফকারীদের দোয়ায়ে ইউনুসের খতম, সালাতুত তাসবিহর নামাজ, তাহাজ্জুদের নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির আজকার, দোয়া-দরুদ ইত্যাদি আমল করার জন্য বিশেষভাবে আহ্বান জানান আল্লামা বাবুনগরী।খবর যুগান্তরের।