আলেম-ওলামাদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার ও হয়রানীর কারণে লকডাউন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।
আজ রবিবার ( ১৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশের নিরীহ নিরাপরাধ আলেম ওলামাদের গ্রেফতার ও হয়রানীর কারণে সরকারের চলমান লকডাউন কঠোরভাবে সমালোচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, যে মুহুর্তে মহমারি প্রকট আকার ধারণ করছে, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা চরম দূর্বিষহ হয়ে উঠছে। সর্বত্র মানুষ আতঙ্কিত। এহেন পরিস্থিতিতে আলেম ওলামাদের অযথা হয়রানী নির্যাতন কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তিনি আরো বলেন, দেশে মাদরাসা শিক্ষকসহ আলেম-ওলামাদের গণহারে গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর ভাষা নেই।
পবিত্র রমাযানের শুরুতেই দেশের আলেম-ওলামা ও মাদরাসা শিক্ষকদের সরকার গণহারে গ্রেফতার করছে ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে। সরকারের এই আচরণ অত্যন্ত অমানবিক ও দুঃখজনক মন্তব্য করেন চরমোনাই পীর।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, গত কয়েক দিনে সারাদেশে শত শত নিরীহ আলেম-ওলামা, মাদরাসা শিক্ষক ও ছাত্র গ্রেফতার করা হয়েছে। যেকোনো ইসলামবিরোধী ইস্যুতে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিবাদ করা দেশের আলেম-ওলামার নৈতিক দায়িত্ব। তাদের এই নৈতিক দায়িত্ব পালনে বাধা দান ও তাদেরকে গ্রেফতার মেনে নেয়া যায় না। তিনি আলেম ও মাদরাসা শিক্ষকদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়ে গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশের কোন শ্রেণি ও পেশার মানুষই আজ নিরাপদ নয়। বাঁশখালীতে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং পবিত্র রমজানের ইফতার, সাহরি ও তারাবিহ ঠিক রেখে কর্মঘণ্টা নির্ধারণের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন শ্রমিকরা। কেন এবং কোন পরিস্থিতিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশের গুলি চালাতে হলো তা খতিয়ে দেখতে হবে। পবিত্র রমজানে এমন হতাহতের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।
পীর সাহেব চরমোনাই নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ও আহতদের যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়া আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান।