স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম আগামীকাল রোববার থেকে শুরু হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ হাফিজিয়া মাদরাসাগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ ছিল। এতে হিফজখানার শিক্ষার্থীরা পবিত্র কুরআনের ইয়াদ হারিয়ে ফেলতে যাচ্ছিল। হিফজখানা চালুর খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে গ্রামাঞ্চল থেকে ছাত্ররা বেডিংপত্র নিয়ে বুধবার থেকেই স্ব স্ব মাদরাসায় ছুটে আসতে শুরু করেছে। করোনা মহামারী থেকে নাজাতের জন্য মাদরাসা চালুর দিন থেকেই প্রতিদিন বিশেষ খতমের ব্যবস্থা করা হবে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়গুলো সরেজমিনে দেখার জন্য বিভিন্ন হাফিজিয়া মাদরাসায় ছুটে যাচ্ছেন। ঢাকার একাধিক হাফিজিয়া মাদরাসার মুহতামিত এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে সকল হাফিজিয়া মাদরাসা এবং হিফজখানার শিক্ষা কার্যক্রমে নিরবিচ্ছিন্ন অধ্যাবসায়ের আবশ্যকতার কথা উল্লেখ করে এর কার্যক্রম চালু করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে গত ৮ জুলাই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব মো. আবুল কালাম আজাদের স্বাক্ষরিত এক সার্কুলারে ১২ জুলাই থেকে হাফিজিয়া মাদরাসা ও হিফজখানার শিক্ষা কার্যক্রম চালুর নির্দেশনা জারি করা হয়। এ সকল হাফিজিয়া মাদরাসা বা হিফজখানার কার্যক্রম পরিচালনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে হিফজখানা খুলে দেয়ার নির্দেশনা জারি হওয়ায় বিভিন্ন মাদরাসার পরিচালনা কর্তৃপক্ষ জরুরি বৈঠক করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার জন্য রেজ্যুলেশনে সদস্যদের স্বাক্ষর নেয়া হয়।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালক (সমন্বয় বিভাগ) মুহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদারের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে হাফিজিয়া মাদরাসা চালু প্রসঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টি তদারকি করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা শিক্ষক ও কর্মচারিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে।