শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা প্রতিনিধি: আওয়ামীলীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন জনগণের উন্নয়ন হয়। দুর্ভাগ্যের বিষয় বিএনপি মানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। বিএনপি-জামায়াতের কাজই হচ্ছে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা। মানুষ খুন তাদের একমাত্র গুণ। বিএনপি-
জামায়াতের আর কোনো গুণ নেই। আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেছেন, আওয়ামী লীগ
যখন ক্ষমতায় আসে তখন জনগণের উন্নয়ন হয়। দুর্ভাগ্যের বিষয় বিএনপি মানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। বিএনপি-জামায়াতের কাজই হচ্ছে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা। মানুষ খুন তাদের একমাত্র গুণ। বিএনপি-জামায়াতের আর কোনো গুণ নেই। সোমবার ৩টা ২০ মিনিটে
খুলনার সার্কিট হাউস ময়দানের মঞ্চে উঠে সমবেত নেতাকর্মী ও জনতার উদ্দেশে হাত নাড়ান ও উচ্ছ্বসিত জনতার সম্ভাষণ গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বেলা ১টায় হেলিকপ্টারযোগে খুলনায় পৌঁছান তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার জনসভায়
বলেন, আপনারা দেখেছেন এই ২৮ অক্টোবর কীভাবে পুলিশকে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্য করেছে। বেহঁশ হয়ে গেছে তাও ছাড়েনি। তারপর কুপিয়েছে। ৪৫ জন পুলিশ আহত হয়েছে। সাংবাদিকদেরও ছাড়েনি। সাংবাদিকদের তারা পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
রাজারবাগ পুলিশ স্টেশনে ঢুকে হাসপাতালে আক্রমণ করেছে। কয়েকটা অ্যাম্বুলেন্স ভেঙেছে, পুড়িয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই খুলনা বিভাগের ১০ জেলাসহ আশপাশের আরো কিছু জেলা থেকে নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনতা ময়দানে প্রবেশ
করতে থাকেন। সকাল ১০টার আগেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও উচ্ছ্বসিত জনতার উপস্থিতিতে পুরো খুলনা শহর লোকারণ্যে পরিণত হয়।দলের নেতা কর্মীদের দাবি খুলনা সদর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী এলাকা নড়াইল, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, কয়রাসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ১০ লক্ষ
নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসেন। প্রধানমন্ত্রী নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে
আরেকবার সেবা করার সুযোগ দেবার কথা বলেন। বেলা পৌনে ৩ টায় খুলনায় সার্কিট হাউজ মাঠে ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এ সময় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।