করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে গত বছরের মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এরপর গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে ক্লাস শুরু করার অনুমতি দেয় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
এর পরপরই ইউজিসি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের অনুমতি প্রদান করে। ফলে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কোনও সেশনজটের মুখে পড়তে হয়নি। অন্যদিকে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রক্রিয়ায় না যাওয়াতে এক বছরের সেশনজটে পড়ছে কয়েক লাখ শিক্ষার্থী।
সংশ্লিষ্টদের মতে, কোভিড-১৯ এর ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন সম্পন্ন এবং চাকুরীর অনিশ্চয়তায় হতাশ ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে চলমান লকডাউন আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ অবস্থায় সেশনজট নিরসনে আসন্ন ঈদের পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে গত বছরের চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করতে চায়। এ লক্ষে পরীক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়া ও দিনক্ষণ নির্ধারণের জন্য দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ ইউজিসি সঙ্গে আজ মঙ্গলবার (৪ মে) এক বৈঠকে বসবেন।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, মঙ্গলবার ইউজিসির সঙ্গে উপাচার্যদের একটি বৈঠক রয়েছে। সেখানে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
ইউজিসির সদস্য সদস্য অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যবৃন্দের সাথে বৈঠকের পর ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিমেস্টার ফাইনাল বা সমাপনী পরীক্ষা সংক্রান্ত গাইডলাইন চূড়ান্ত করবে।