– সৈয়ব আহমেদ সিয়াম, চবি প্রতিনিধি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংহতি সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার (১৫ অক্টোবর, ২০২৩) বেলা ১১ টায়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এই সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনের হামাস বাহিনী ও নিপীড়িত জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়। গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী মোঃ রাকিব হোসেনের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সমাবেশে উপস্থিত হয়ে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। শিক্ষার্থীদের হাতে “ফ্রি প্যালেস্টাইন”, “বাংলাদেশ স্ট্যান্ডস উইথ প্যালেস্টাইন” সহ ফিলিস্তিনের প্রতি ভালোবাসাসূচক বিভিন্ন ফেস্টুন ছিলো। তাদের মুখে ছিলো “ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ, ইসরায়েল নিপাত যাক” স্লোগান। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মোঃ মুরাদ হোসেন বলেন,
“ইসরায়েলি কর্তৃত্ববাদীদের ১৯৪৮ সালের পূর্বে কোনো দেশ ছিল না, ছিল না কোনো নির্ধারিত থাকার জায়গা। ফিলিস্তিনিবাসী ইসরায়েলিদের অসহায়ত্ব দেখে ফিলিস্তিনে থাকার জায়গা দিয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েল তাদের আশ্রয়দানকারীদের আজ নির্মমভাবে হত্যা করে।
ফিলিস্তিনিদের সম্পদ লুট করা হচ্ছে, তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে ফিলিস্তিন থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে। মানবতার ইতিহাসে এত বড় জঘন্যতম গণহত্যা ও অপরাধের নজির বিরল। আমরা এই নৃশংসতার প্রতিবাদ জানাই।” ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২০-২১
সেশনের শিক্ষার্থী সৈয়ব আহমেদ সিয়াম বলেন, “আমরা জাতিগত ভাবে পৃথিবীর নিপীড়িত মজলুম মানুষের পক্ষে। কোনো দখলদার হানাদার বাহিনীকে আমরা সমর্থন করি না। ফিলিস্তিনের ভূমিতে আশ্রয় নিয়ে দখলদার ইসরায়েলিদের আগ্রাসন কখনোই মেনে নেওয়ার মতো নয়। সারা বিশ্বে সন্ত্রাস দমনের ঠিকাদারি নিয়ে নিজেদের সুপার পাওয়ার দাবি করা গোষ্ঠী আজ ইসরায়েলের বর্বরতা ও দখলদারিত্বের
বিপক্ষে ভূমিকা রাখছে না। মূলত তারা সন্ত্রাস দমন নয়, নিজেদের স্বার্থে পৃথিবীতে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দিতে চায়। আমরা তাদের কার্যকলাপের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। দাবি
জানাচ্ছি, বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ কথাটা বহাল রাখা হোক।” আরবি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, “ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যখন উমর (র.) এর নেতৃত্বে মুসলিমরা ফিলিস্তিন বিজয় করেন, তখন এক ফোঁটা রক্তও ঝরেনি।
খ্রিস্টানদের গীর্জা সমূহ অক্ষত রেখেছেন। খ্রিস্টানদের নিরাপত্তা দিয়েছেন। ফিলিস্তিনের আট হাজার বছরের ইতিহাসে মুসলমানদের শাসন আমলটুকু ছিলো উজ্জ্বল ও নিরাপত্তায় পরিপূর্ণ। সেখানে ফিলিস্তিনের মুসলিমদের ওপর ইসরায়েলের আজকের বর্বরতা সত্যিই বিস্ময় জাগায়। আমরা ফিলিস্তিনের জনগণের সাথে নিপীড়নের বিরুদ্ধে ন্যায় সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি।” সমাবেশটি শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী জনগণ, বাংলাদেশ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর উন্নতির জন্য দোয়ার মাধ্যমে শেষ করেন।