নিজস্ব প্রতিবেদক –রেলওয়ের কন্ট্রোল রুম!ট্রেনের গতিবিধি নিয়ন্ত্রন করাই যেই বিভাগের কর্মচারীদের কাজ।ট্রেনের গতিবিধি নিয়ন্ত্রন করতে করতে এখানে কেউ কেউ এতোটাই পাকাপোক্ত হয়ে গিয়েছে যে তাদেরকেই নিয়ন্ত্রণ করা যেন এখন প্রায় অসম্ভব।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল অঞ্চলের এমনই একজন দুর্ধষ কর্মচারী বরকত উল্লাহ।দায়িত্বে আছেন মেকানিক্যাল বিভাগের ট্রেন পরিক্ষক হিসেবে(টিএক্সআর -কন্ট্রোল)।প্রায় ৫ বছরেরও অধিক সময় ধরে এই পদে কর্মরত বরকত উল্লাহ নিয়ন্ত্রনে এতোটাই পাকাপোক্ত যে তিনি এখন শিখে গিয়েছেন তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকেও নিয়ন্ত্রনে রাখতে।আর তাইতো প্রথাগত নিয়মের বাহিরে এসে পাঁচ বছর ধরে আছেন একই পদে,অতিরিক্ত ডিউটি না করে নিচ্ছেন ওটি বলি,ঘরে বা অফিসে থেকেই বানিয়ে ফেলেন টিএ বিল আর মাস শেষে তা তুলেও নিচ্ছেন খুবই সহজে।এ যেন শুভংকরের ফাঁকি।
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের দূর্ধষ এই কন্ট্রোলারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে আমাদের হাতে আসা বেশ কিছু ডকুমেন্টস ঘেটে তাতে দেখা যায় গত ৩ বছর ২ মাসে মোট ওটি বলি নিয়েছেন ৫৮৯১৪০ টাকা এবং টিএ বিল নিয়েছেন ১৬৩৪৭০ টাকা।তবে শুনে অবাক হবেন যে দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিকে তার দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পরও তদন্ত কমিটির দিকে তোয়াক্কা না করে এখনও সমান তালে নিয়ে যাচ্ছে অবৈধভাবে ওটি এবং টিএ বিল।
শুধু এখানেই শেষ নয় গত মে মাস আগে দেশের কিছু শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিকে এই বরকত উল্লাহর প্রভাব বিস্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে পূর্বাচল রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।যেই গনমাধ্যেমের অনুসন্ধানের জেড়ে বরকত উল্লাহর দূর্নীতির চিত্র জনসম্মূখে উঠে আসে সেই গনমাধ্যেম কর্মীদের হাতে এখনও আসেনি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট।তাই নিশ্চিত হয়ে বলা চলে আলোর মুখ দেখিনি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট।
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত বরকত উল্লাহর সাথে কথা বললে তিনি জানান,”তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ ভূয়া এবং ভিত্তিহীন।একটি মহল তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন বলে জানান তিনি”।
বরকত উল্লাহর বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ ভূয়া দাবির প্রেক্ষিতে আমরা পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের চীফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার(পূর্ব) তাপস পালের সাথে কথা বললে তিনি জানান তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির কোন প্রমান পাওয়া যায়নি।কিন্তু তদন্ত কমিটির সেই প্রতিবেদনটিও মিডিয়ার হাতে আসেনি।তাই আপাদত সিমএমই(পুর্ব) এর কথাতেই থামতে হয় আমাদের।