নির্দিষ্ট দাবিতে একটি আন্দোলনের মঞ্চে নেতৃবৃন্দের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য এবং ব্যক্তি মতের ভিত্তিতে দাবি-দাওয়া পেশ করলে সর্বসাধারণের মাঝে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। এদের কি নির্দিষ্ট কেন্দ্রবিন্দু নেই? এরা কি একজন আমীরের ইত্তেবা করে না?
আবার সর্বসাধারণই জবাব খুঁজে নেয়। না, এদের নির্দিষ্ট কেন্দ্রবিন্দু থাকলেও বক্তব্যে লাগাম নেই। নিজেকে জাহির করতে বক্তব্যে নতুন নতুন বাক্যের ফুলঝুরি জাহির করেন তারা। ফলাফলে দেখা দেয় গোলমাল।
আজ ইশা ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে প্রেসক্লাব সম্মুখে লকডাউন বিরোধী মানববন্ধনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা একটা বাক্য কয়েকবার উচ্চারণ করেছে- “এটা কি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাইছো?”
এ বাক্য উচ্চারণের সুযোগ কারা করে দিয়েছে? এ সুযোগ করে দিয়েছে গন্তব্যহীন একটি আবেগি আন্দোলন।
বাংলাদেশের ইসলামপন্থাকে এ কলঙ্কের দাগ নিয়ে আগাতে হবে আরো কিছুদিন। একটা সময় হয়তো এদেশের মানুষ এবং রাষ্ট্রযন্ত্র বুঝতে সক্ষম হবে যে এসব আবেগি আন্দোলন আর ইসলামী রাজনীতি এক নয়।
সহীহ ধারায় যারা ইসলামী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন তাদের প্রত্যেকটি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের সকল পদক্ষেপ পূর্বনির্ধারিত। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তেও তাদের রয়েছে নির্ধারিত চেইন অব কমান্ড। ফলশ্রুতিতে সব ধরনের আন্দোলনেই শৃঙ্খলা থাকে শতভাগ।
নিয়মতান্ত্রিক ইসলামী রাজনীতিতে যারা নেতৃত্ব প্রদান করেন তাদের একটা উদারনীতি সাময়িকভাবে সমগ্র ইসলামপন্থাকে বিতর্কিত করে। এরা পদস্খলিত যেকোন আলেমকে বৃহৎ স্বার্থের জন্য তাৎক্ষণিক আগলে রাখার চেষ্টা করে। তাদের এই নীতি যৌক্তিক হলেও এ নীতিতে পদস্খলিত ব্যক্তির পদস্খলন সমগ্র ইসলামপন্থাকেই টার্গেটে পরিনত করে। এজন্য যুগের চাহিদায় উদারনৈতিক অবস্থানকে আরো কিছুটা সংকুচিত করে স্বীয় অবস্থান পরিষ্কার করে দেয়া উচিত। এতে সামগ্রিকভাবে ইসলামপন্থা বিতর্কের হাত থেকে রেহাই পাবে।
খান মুহাম্মাদ শরীয়াতুল্লাহ
সম্পাদক, প্রেজেন্ট নিউজ