বিশ্ববিখ্যাত দ্বীনি বিদ্যাপীঠ, উম্মুল মাদারিস, ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের নায়েবে মুহতামিম, মুহাদ্দিস ও আরবী সাহিত্যিক আল্লামা আব্দুল খালেক সাম্ভলী রহ. এর ইন্তেকালে গভীরভাবে শোক প্রকাশ করে
মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। পৃথক পৃথক বিবৃতিতে মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) ও মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
আল্লামা আব্দুল খালেক সাম্ভলী আজ ৩০ জুলাই’২১ জুমাবার বিকাল চার টায় ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
৩০-০৭-২১ শুক্রবার এক শোক বার্তায় পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘আল্লামা আব্দুল খালেক সাম্ভলী ছিলেন অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, বিনয়ী ও সজ্জন এক বিদগ্ধ হাদিস বিশারদ। তিনি ১৯৮৩ থেকে দীর্ঘ ৩৮ বছর যাবত উম্মুল মাদারিস দারুল উলুম দেওবন্দে সুনামের সাথে শিক্ষকতা করেছেন। ২০০৮ সাল থেকে নায়েবে মুহতামিমের গুরু দায়িত্বও দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সাথে আঞ্জাম দিয়েছেন। ইলমী ও বিনয়ী কথাবার্তায় তিনি সবাইকে খুব সহজেই মুগ্ধ করতে পারতেন। আল্লামা আব্দুল খালেক সাম্ভলী রহ. একজন মানব দরদি, নম্র-ভদ্র, সরল মনের অধিকারী ও বহুমুখী প্রতিভাবান আলেম ছিলেন। তিনি দেশ-বিদেশে ইলমে নববীর আলো বিতরণ করে গেছেন। সারা বিশ্বে তাঁর হাজার হাজার ছাত্র রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তিনি বড় মাপের একজন দায়ী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশে বহুবার এসেছেন এবং চরমোনাই মাহফিলে এসেছেন। বয়ান করেছেন। হাদিসের দারস দিয়েছেন। তাঁর সান্নিধ্যে থাকার সুযোগ হয়েছে আমার। তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে অনেক মুহাব্বত করতেন। তিনি চরমোনাই মাহফিলে না আসতে পারলে মাহফিলের খোঁজ খবর নিতেন।
পীর সাহেব চরমোনাই আল্লামা শাম্ভলীর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবদেনা জ্ঞাপন করে বলেন, আল্লাহ তায়ালা হযরতকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদায় ভুষিত করুন এবং মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে সকলকে সবরে জামিল এখতিয়ারের তৌফিক দিন, আমীন।