দেশের চলমান নানা সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম, পীর সাহেব চরমোনাই। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাজারে চাল, ডাল, পেঁয়াজ ও ভোজ্য তেলের মত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে, তা নিয়ে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ খেই হারিয়ে ফেলছে। এছাড়া সরকারের দুঃশাসন ও বিভিন্ন প্রকল্পের নামে চলছে দুর্নীতির মহাউৎসব। ধর্ষণ, খুন, গুমসহ সবকিছু মিলিয়ে গোট দেশ আজ বিপর্যস্ত। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে দেশে এখন জরুরী ভিত্তিতে ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েম করা প্রয়োজন। আর এজন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। শুক্রবার রাজধানীর ভাটারস্থ আস-সাঈদ মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তরের দায়িত্বশীল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ এর সভাপতিত্বে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর সহ-সভাপতি মুফতি মুহাম্মাদ ওয়ালী উল্লাহ, সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা নূরুল ইসলাম নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মাদ মুরাদ হোসেন, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক ডা. মজিবুর রহমান, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক এড. শওকত আলী হাওলাদারসহ নগরের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বিগত স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন অনিয়মের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। নানা ফন্দি ফিকির করে সরকার ক্ষমতা দখল করেছে। এবারও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রত্যাখ্যাত ইভিএম ফন্দি আঁটছে; যা এদেশের মানুষ সফল হতে দিবে না।
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সরকারের বিগত নির্বাচনের কর্মকাণ্ডে জনমনে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের শঙ্কা থেকেই যায়। তাই আসন্ন নির্বাচনে ইসি এবং সরকার নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণ করে গণমানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করুন।
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, দেশে আজ চাল, ডাল থেকে শুরু করে ভোজ্য তেল, গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই সিন্ডিকেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। শুধু এই সরকার নয়, আগের সরকারগুলোর সময়ও আমরা দেখেছি, সিন্ডিকেটের কারণে হঠাৎ করেই জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। সরকার চাইলে এদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কিন্তু সরকার এটা করবে না। কারণ মূল্যবৃদ্ধির পেছনে সরকারের মন্ত্রী এবং তাদের নেতাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তারা দুর্নীতি করে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। তিনি আরও বলেন, সরকার অভিযানের নামে দু-চারটা চুনোপুটি ধরেই শেষ। রাঘব বোয়ালরা বরাবরই পার পেয়ে গেছে। আর ভুক্তভোগী হয়েছে সাধারণ মানুষ। তাই আর দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় না দিয়ে সাধারণ মানুষকে একটু স্বস্তিতে বসবাস করার অধিকার ফিরিয়ে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।