শুক্রবার | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল | দুপুর ২:৪৮

শুক্রবার | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল | দুপুর ২:৪৮

রূপপুরের চেয়ে বড় হচ্ছে ঢাকা-কক্সবাজার রেল প্রকল্প

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram
  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৪:২২ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১২:০২ অপরাহ্ণ
  • বিকাল ১৬:৩০ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৮:২৪ অপরাহ্ণ
  • রাত ১৯:৪০ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যয় এখন সরকারি হিসাবে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এটাই এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল প্রকল্প।

তবে এই প্রকল্পকে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ ব্যয়ের প্রকল্প হতে যাচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল প্রকল্প। প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় ১৩টি নদীর ওপর রেলওয়ে ব্রিজ নির্মাণের লক্ষ্যে ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ ক্লাসিফিকেশন দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বরাবর অনুরোধ করা হয়েছে। নেভিগেশনাল ক্লিয়ারেন্স অনুযায়ী প্রস্তাবিত ব্রিজের উচ্চতা বিদ্যমান ব্রিজের চেয়ে বেশি হবে।

প্রকল্পে নিয়োজিত পরামর্শকের মতে, বিআইডব্লিউটিএ প্রয়োজনীয় নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স রেখে ব্রিজগুলো নির্মাণ করা হলে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হবে, যা প্রকল্প বাস্তবায়নে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে এবং প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। স্থানীয় ১৩টি ছোট-বড় নদী-খাল পেরিয়ে সরসারি ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মিত হবে। প্রকল্পের আওতায় গুরুত্বপূর্ণ ৮টি কম্পোনেন্ট রয়েছে। টঙ্গী খাল, বালু নদী, শীতলক্ষ্যা, আড়িয়াল খাঁ, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা, ছোট ফেনী, মুহরী, ফেনী, কর্ণফুলী, মাতামুহরী শাখা নদী ও পুরাতন মাতামুহরী শাখা নদী পেরিয়ে রেলপথ নির্মাণ করা হবে। ১৩টি নদীতে নির্মাণ করতে হবে সেতু। সেতুর নিচের অংশের অবকাঠামো কংক্রিকেটর, অন্যদিকে উপরের অংশের অবকাঠামো হবে স্টিলের। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটা সেতুর উচ্চতাও বৃদ্ধি করতে হবে।

ফলে মূল প্রকল্পের ব্যয়ও বেড়ে দাঁড়াবে ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রস্তাবিত প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদনের পর বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই হবে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প। প্রাথমিক হিসেবে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৬ হাজার কোটি টাকা কিন্তু ব্রিজগুলোর উচ্চতা বৃদ্ধির কারণেই মূলত প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ রেলওয়ের এক ঊর্ধতন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, মূলত চলমান কারিগরি প্রকল্পের উপর নির্ভর করে মূল প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। বিআইডব্লিউটিএর নির্দেশনা অনুযায়ী ১৩টা নদীর নেভিগেশনাল হাইট (উচ্চতা) নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা ধারণা করেছিলাম ৭৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। তবে নদীতে ব্রিজের উচ্চতা বৃদ্ধি করা হবে। ফলে প্রকল্পের ব্যয় আরো ৪০ শতাংশ বাড়বে। সেই হিসেবে প্রকল্পের ব্যয় ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা হবে। ’

মূল প্রকল্প গ্রহণের জন্য ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল প্রকল্প প্রস্তুতিমূলক সুবিধার জন্য কারিগরি সহায়তা’ শীর্ষক প্রকল্প চলমান। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে কারিগরি প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে প্রকল্পের কাজ চলমান। এই প্রকল্পের পরেই মূল প্রকল্প শুরু হবে। কারিগরি প্রকল্পটি ২১২ কোটি ৬৪ লাখ ৩১ হাজার টাকায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। বর্তমানে প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ৮২ শতাংশ। প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ৭৫ শতাংশ। ইতোমধেই প্রকল্পের আওতায় ১৬০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, সেতুগুলোর উচ্চতা বৃদ্ধির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভার্টিকেল ২ দশমিক ১২ মিটার থেকে হরাইজন্টাল সর্বোচ্চ ৭৬ দশমিক ২২ মিটার হতে হবে। হরাইজন্টাল নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স অনুসরণে ব্রিজের নির্মাণ কারিগরিভাবে বাস্তবসম্মত হবে। তবে ভার্টিকেল নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স বাস্তব অবস্থার তুলনায় অধিক হওয়ায় রেল ব্রিজ নির্মাণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। বিআইডাব্লিউটিএ ভার্টিকেল নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স সমুন্নত রেখে ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রে ২৩ কি . মিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ এবং ৬২ কিলোমিটার এমব্যাংকমেন্টের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রয়োজন হবে। এছাড়া অধিকাংশ ব্রিজের পাশে রেলওয়ে স্টেশন বিদ্যমান থাকার কারণে প্রায় এক কিলোমিটার স্টেশন ইয়ার্ড রেইজ অথবা স্টেশন ইয়ার্ড স্থানান্তর করার প্রয়োজন হবে; যা ব্যয় সাপেক্ষ।

বিআইডব্লিউটিএ প্রদত্ত নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স রেখে রেলওয়ে ব্রিজসমূহ নির্মাণ করতে হলে অতিরিক্ত বিশাল অর্থের প্রয়োজন হবে। বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিয়োগে নির্মিত প্রকল্পের ফাইন্যান্সিয়াল অ্যান্ড ইকোনোমিক ইন্টারনাল রেল অব রিপটার্ন গ্রহণযোগ্য হবে কিনা সন্দিহান রেলওয়ের। চলমান কারিগরি প্রকল্পের মাধ্যমেই সম্ভাব্য ব্যয় বের করা হয়েছে। অধিকাংশ অর্থই দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে এডিবি। সংস্থাটির ঋণের পাশাপাশি সরকারি অর্থও ব্যয় হবে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram

Leave a Comment

সর্বশেষ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

ছাত্রনেতা ইউশা’র মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে -ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, খুলনা মহানগর

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, খুলনা মহানগর এর আওতাধীন আড়ংঘাটা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা সাজিদুর রহমান ইউশার রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, খুলনা মহানগর নেতৃবৃন্দ। আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর এর সভাপতি মুহা. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাধারণ

  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৪:২২ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১২:০২ অপরাহ্ণ
  • বিকাল ১৬:৩০ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৮:২৪ অপরাহ্ণ
  • রাত ১৯:৪০ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ