ভয়াবহ বন্যায় মানবিক বিপর্যয়ের শিকার বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্থ বানভাসি মানুষের জন্য ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জরুরি ভিত্তিতে ৫দফা কর্মসূচি গ্রহণ করে মাঠে নেমেছে।
২০ জুন সোমবার ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম এর নেতৃত্বে “দুর্যোগ সহায়তা টিম” কর্তৃক সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
এসময় কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, ভারত বন্ধুসুলভ আচরণের বিপরীতে গিয়ে বাংলাদেশে শুষ্ক মৌসুমে পানি শুন্যতা ও বর্ষাকালে পানি আগ্রাসনের যে আচরণ করছে এতে দেশবাসী বিক্ষুব্ধ। এমন সংকট নিরসন করতে না পারা ক্ষমতাসীন সরকারের ব্যর্থতা। এ ছাড়াও এসব অঞ্চল রক্ষায় বাঁধ নির্মাণ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার দায়ও সরকারকে নিতে হবে।
নূরুল করীম আকরাম বলেন, আমরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করছি। বানভাসি মানুষের সহায়তার জন্য যতদিন দুর্যোগ আছে ততদিন আমরা কাজ করতে চাই। দূর্যোগকালীন সংকট উত্তরণে ছাত্র আন্দোলনের গঠিত গণতহবিলে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য যে, আকষ্মিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে ১৭ জুন ২০২২ শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম দুর্যোগ সহায়তা টিম নিয়ে সিলেটে পৌঁছে নিজ তত্ত্বাবধানে বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রাণ ও নগদ অর্থ সহায়তা সহ জরুরি সেবা প্রদানের উদ্যোগ নেন।
এদিকে নেত্রকোনা জেলার বন্যা কবলিত এলাকায় সংগঠনের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুর দুর্যোগ সহায়তার একটি টিম নিয়ে বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা ও নগদ অর্থ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
ত্রাণ সহায়তা টীমসমূহে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক নুরুল বশর আজিজী, বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মুহাম্মাদ মাহবুব হোসেন মানিক, প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মাদ আল আমিন সিদ্দিকী, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ মাহবুবুর রহমান, সাংগঠনিক বিভাগীয় উপ-সম্পাদক আবু তাহের মিসবাহ, সিলেট জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ মাকবুল হোসেন, মহানগর সভাপতি আরাফাত হোসেন, হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি এনামুল হক, নেত্রকোনা জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ ওমর ফারুক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর গৃহীত ৫দফা জরুরি কর্মসূচি সমূহ:
১. বন্যার্তদের সহযোগিতায় গণতহবিল সংগ্রহ।
২. বন্যা কবলিত জেলা সমূহে রেসকিউ টীম গঠন ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা।
৩. বানভাসি মানুষের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, ব্যবস্থাপনা ও তদারকি।
৪. ভ্রাম্যমান মেডিকেল সেবা ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান।
৫. শুকনো খাবার ও পানি বিশুদ্ধকরণ উপকরণ বিতরণ।