বুধবার | ৯ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি | ২৫ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | বর্ষাকাল | রাত ১:২৯

বুধবার | ৯ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি | ২৫ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | বর্ষাকাল | রাত ১:২৯

রাবির নতুন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক টিপু ও কিছু কথা

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram
  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৩:৫২ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১২:০৭ অপরাহ্ণ
  • বিকাল ১৬:৪২ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৮:৫৪ অপরাহ্ণ
  • রাত ২০:২০ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ

মিনহাজ আবেদিন, রাবি প্রতিনিধিঃ গত ৩ বছর ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের আলোচিত নাম অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম টিপু। তৎকালীন রাবির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেন ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের এই অধ্যাপক। সাবেক উপাচার্যের নির্যাতন, জুলুম ও রক্তচক্ষু এবং তার সমর্থকদের হুমকি ও অপপ্রচার উপেক্ষা করে দুই বছরের বেশি সময় চালিয়ে যান আন্দোলন। সেই অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম টিপুকে গত ১৩ তারিখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি।

অধ্যাপক টিপু নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁকা গ্রামে ১৯৬১ সালের ৪ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ইব্রাহিম আলী সরকার, যিনি নর্থ বেঙ্গল চিনিকলে ফিল্ড সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অধ্যাপক টিপুর বড় ভাই অধ্যাপক ড. সোলায়মান ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষক ও প্রখ্যাত লালন গবেষক।

অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম টিপুর জীবন বৃত্তান্ত থেকে জানা যায়, তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগ থেকে ১৯৮১ সালে সম্মানসহ স্নাতক ও ১৯৮২ সালে স্নাতকোত্তর (প্রথম শ্রেণীতে প্রথম) পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি ইংল্যান্ডের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশ সরকারের বৃত্তি নিয়ে এমএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন। সেই সাথে ২০০২ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।

১৯৯৭ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ২০০২ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০০৭ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান।

কর্মক্ষেত্রে অধ্যাপক টিপু বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। ২০১৫-১৮ সাল পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ইনিস্টিউটের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক টিপু। ২০১০ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের পক্ষে রাবি শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ এবং ২০১২ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন অধ্যাপক টিপু। ২০১৩-১৬ সাল পর্যন্ত তিনি রাবির নির্বাচিত সিনেট সদস্য এবং ২০১৬-১৯ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ছিলেন। এসবের পাশাপাশি তিনি রাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু সমাজ-সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা। রাবির বরেন্দ্র জাদুঘর, বুদ্ধিজীবী চত্বর, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এই অধ্যাপক। এছাড়াও ২০১৯ সাল থেকে তিনি নিজ বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের শুরু থেকেই অধ্যাপক টিপু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সক্রিয় সদস্য হিসাবে কাজ করছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের এই শিক্ষক নেতা সব সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের আগে ১৯৮৬-৯৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও উপ পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ বিশেষ করে কয়লা, চিনামাটি, কাচবালি, নুড়ি পাথর ও কঠিন শিলার অনুসন্ধানে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন তিনি। সেই সময় তিনি দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া ও রংপুরের খালাসপীর কয়লাখনির আবিস্কারকদের অন্যতম এবং মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি উন্নয়নে সক্রিয় পরামর্শক ভূতত্ত্ববিদ হিসেবেও কাজ করেছেন। এছাড়াও বঙ্গোপসারে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানে জার্মান ভূতাত্ত্বিক জরীপ দলের সাথে কাজ করেছেন।

অধ্যাপক টিপু রাবি এলামনাই এসোসিয়েশন, রাজশাহী কলেজ এলামনাই এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক সমিতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানজীবি সমিতি, ভারতের ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট এসোসিয়েশন, নেপাল ও ব্রাজিলের পরিবেশ ও ভূতত্ত্ব সম্পর্কিত সংগঠনের আজীবন ও সাধারণ সদস্য।

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে তার ৯২টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও ভূতাত্ত্বিক ও পরিবেশ বিষয়ক ৪টি গবেষণামূলক পুস্তক এবং ২টি প্রবন্ধ প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।

অধ্যাপক টিপুর শ্বশুর জয়নাল আবেদীন একজন ভাষা সৈনিক, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ৩ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এছাড়াও অধ্যাপক টিপুর মেজো ভগ্নিপতি মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আক্কাছ আলী মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজশাহী অ লে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে থেকে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।

২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বে-আইনীভাবে গ্রেফতারকৃত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলন এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মুক্তি আন্দোলন ও আইনী লড়াইয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখে এই অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয় তথা জাতীয় পর্যায়ের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি সব সময় সক্রিয় ছিলেন।#

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram

Leave a Comment

সর্বশেষ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

জণকল্যানমূলক ফাউন্ডেশনকে রক্ষায় চট্টগ্রামে মানববন্ধন 

নিজস্ব প্রতিবেদক – নগরীর বহদ্দারহাটস্থ আরাকান রোডে ওয়াহিদ ইলেকট্রিশিয়ান’স ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে সচেতন নাগরিক সমাজ ও ছাত্র জনতার ব্যানারে আজ সোমবার (৩০ জুন) বিকেল ৪টায় এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম এ. এম. ওয়াহিদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এতিমখানা বন্ধ করে সেখানে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ, ট্রেনিং সেন্টার গুঁড়িয়ে

২০ দফা দাবিতে শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মতবিনিময় ও স্মারকলিপি

গবেষণাবান্ধব শিক্ষা বাজেট প্রণয়নে প্রস্তাবিত বাজেটের ২০ শতাংশ এবং মোট জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দসহ ২০

শিক্ষা খাতে বাজেটের মোট জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দসহ ২০ দফা দাবি -ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ

আজ ২৫ মে ২০২৫ রোজ রোববার সকাল ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ইসলামী

  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৩:৫২ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১২:০৭ অপরাহ্ণ
  • বিকাল ১৬:৪২ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৮:৫৪ অপরাহ্ণ
  • রাত ২০:২০ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ