ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, বিদ্যুৎ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ-বিষয়ক উপদেষ্টার বক্তব্য (‘দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ রাখার শপথ নিতে হবে’) জনগণের সাথে তামাশার শামিল। এ বক্তব্যে দেশবাসী যখন ক্ষুব্ধ, তখন তথ্যমন্ত্রী মালিশ দিয়ে বলছেন, দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়নি। তাহলে কার বক্তব্য সঠিক? এভাবে জনগণকে তারা খেলার পুতুল বানিয়েছে।
তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের কষাঘাতে জনগণের জীবন অস্থির করে তুলেছে। এরমধ্যে চিনি নিয়ে সিন্ডিকেট জনগণের জীবন নাভিশ্বাস।
মঙ্গলবার ২৫ অক্টোবর পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, এম বরকত উল্লাহ লতিফ, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।
দলের মহাসচিব বলেন, মাছধরা নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল সরকার দলীয় স্থানীয় নেতারা ভাগ করে নিয়ে জেলেদের বঞ্চিত করে। এভাবে তৃণমূলসহ সর্বত্র দুর্নীতির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে দেশ। তিনি বলেন, সীমাহীন লুটপাট, দুর্নীতি, অপশাসনের মাধ্যমে ভোট ডাকাত সরকার দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অবৈধভাবে কুক্ষিগত করে রাখা গদি হারানোর ভয়ে সরকার এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সরকার দেশকে দেউলিয়া করেছে। এতদিন রিজার্ভ নিয়ে বড়াই করলেও ৪২ বিলিয়ন ডলার কোথায় তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু বলছেন না।
তিনি আরো বলেন, দেশকে যারা রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে তারা জনগণের বন্ধু হতে পারে না। লুটপাটের হিসেব আল্লাহর কাছে দিতে হবে। সেখানে এক কদমও সামনে বাড়ার এখতিয়ার থাকবে না।
সভায় পূর্ব ঘোষিত শিক্ষা সিলেবাসে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবিতে আগামী ১০ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি নিয়ে বিশদ আলোচনা শেষে কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।