অর্থ বিলে প্রস্তাব আকারে না থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিল পাসের সময় সংশোধনী যোগ করে কালো টাকা সাদা করার বিশেষ সুযোগ রাখল সরকার।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে মৌলভীবাজার-৪ আসনের সরকার দলীয় এমপি মো. আব্দুস শহীদ এ বিষয়ে প্রস্তাব তুললে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তা গ্রহণ করেন এবং পরে কন্ঠভোটে তা পাস হয়।
কালো টাকা সাদা করলে অর্থের উৎস নিয়ে দেশের কোনো কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন করবে না- এমন সুযোগ দিয়ে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে আয়কর আইনে দুটি নতুন ধারা সংযোজন করা হয়, যার মেয়াদ শেষ হবে ৩০ জুন। গত ৩ জুন আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেন নি। অর্থ বিলেও এর সংশোধন বা চলমান রাখার প্রস্তাব ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত করহার বাড়িয়ে এবং নতুন একটি সুযোগ দিয়ে অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন না করার বিশেষ সুবিধা রাখা হলো।
কোথায় সংশোধন: চলতি অর্থবছরে শেয়ার, বন্ডসহ পূঁজিবাজারে লেনদেন যোগ্য যে কোনো সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করে ১০ শতাংশ কর দিলে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ ছিল। আগামী অর্থবছরে এক্ষেত্রে করহার ২৫ শতাংশ এবং করের ওপর ৫ শতাংশ জরিমানা করে কালো টাকা সাদা করা যাবে। জমি, ভবন ও ফ্ল্যাটে এলাকাভেদে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ চলতি অর্থবছরে ছিল। একই পরিমাণ কর রেখে যা আগামী অর্থবছরে অব্যাহত রাখা হয়েছে।
নগদ অর্থ, ব্যাংকে জমা রাখা অর্থ এবং সঞ্চয়পত্রসহ যে কোনো ধরনের অপ্রদর্শিত সঞ্চয়ের ওপর ১০ শতাংশ কর দিয়ে সাদা করার সুযোগ ছিল। আগামী অর্থবছরে এ সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে করহার বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ এবং করের ওপর আরও ৫ শতাংশ জরিমানা আরোপের বিধান করা হয়েছে।
আগামী অর্থবছরে নতুন একটি সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কোনো নতুন কারখানায় বিনিয়োগ করলে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করা যাবে। আর সবক্ষেত্রেই আয়কর বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ থাকবে না।