ইহুদিবাদীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এম কে ইতামার বেন গাভিরের স্ত্রী আয়ালা বেন-গাভিরের সাথে দখলকৃত জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে অভিযানে জড়িত ইসরায়েলি পুলিশ কর্মকর্তা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারী নেতাদের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এ বৈঠকে আয়ালা বেন-গাভির জেরুজালেমের পবিত্র স্থানে ইহুদিদের প্রার্থনার উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা বলেন। তিনি মসজিদ প্রাঙ্গণে ইহুদিদের প্রবেশের জন্য আরও গেট খুলে দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশি নজরদারি কমানোর বিষয়েও চাপ প্রয়োগ করেন।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) এ বৈঠকের বিবরণ উল্লেখ করে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ৫০ টি দূতাবাস ও বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে হামাস।
চিঠিতে আল-আকসা মসজিদে বিরুদ্ধে ইহুদিদের “জায়নবাদী পরিকল্পনা” সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।
চিঠিতে হামাস জানিয়েছে, “এই বিপজ্জনক পরিকল্পনা ও নীতিগুলি দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে ও বাইরের পরিস্থিতিকে আরো উত্তেজিত করে তুলবে।”
হামাস জানায়, আল-আকসা মসজিদ অন্য মসজিদের মতো নয়; এটি বিশ্বজুড়ে ১৬০ কোটির ও বেশি মুসলমানদের জন্য তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। মসজিদটিকে রক্ষা করা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের অংশ।
হামাস আরো বলেছে, “ফিলিস্তিনিরা যে কোনো মূল্যে আল-আকসা মসজিদকে রক্ষা করতে প্রস্তুত। যতদিন এই পৃথিবীতে ফিলিস্তিনিরা বেঁচে থাকবে ততদিন ইসরাইলের পরিকল্পনা সফল হবে না। ইহুদিবাদীদের এ অসৎ পরিকল্পনা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ করা উচিত।”
জাতিসংঘ থেকে প্রকাশিত গবেষণায় কোনভাবে এটি প্রমাণিত হয়নি যে আল-আকসা মসজিদের অভ্যন্তরে ইহুদিদের কোন উপাসনার স্থান রয়েছে।
তাছাড়া ইসরাইল কর্তৃক জেরুজালেমকে তার ‘অবিভক্ত রাজধানী” হিসেবে সংযুক্ত করাও আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত নয়।
সূত্র: মিডিল ইস্ট মনিটর