ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে করা মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মামলার প্রধান আসামি বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসলাম উদ্দিন মোল্লা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) স্বপন কুমার বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।
ভিপি নুর বাদে অভিযোগপত্রে অব্যাহতি পাওয়া অপর আসামিরা হলেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাতে লালবাগ থানায় ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী ভিপি নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের সাথে বাদীনির পরিচয় হয় এবং তার সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে আসামি হাসান আল মামুন বাদীনিকে শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। ফলশ্রুতিতে গত বছরের ৩ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে বাদীনিকে আসামি হাসান আল মামুন তার বাসা লালবাগে যেতে বলে। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর তার পরের দিন বাদীনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে একই বছরের ১২ জানুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসামি নাজমুল হাসান সোহাগের মাধ্যমে ভর্তি হন। এরপর থেকে আসামি হাসান আল মামুন আত্মগোপন করেন।
এদিকে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগিতা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সেই শিক্ষার্থীর আরেক মামলায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ ও একই সংগঠনের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন পুলিশ। গত ৮ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
তবে এ মামলায় সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করেছে পুলিশ।