আল আমীন, ভোলা প্রতিনিধিঃ পাবলিক পরীক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষা বহাল এবং শিক্ষার সর্বস্থরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, শিক্ষা সিলেবাস থেকে ঈমান-আকিদা বিধ্বংসী অবৈজ্ঞানিক ডারউইন বিবর্তন বাতিলের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলা উত্তর শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।
আজ ( রবিবার) ৪ ঠা ডিসেম্বর -২২ ইং, সকাল ১০ শহরস্থ কে জাহান মার্কেটের সামনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলা উত্তর শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান মোমতাজী’র সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা তরিকুল ইসলাম সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, আইএবি জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান মোমতাজী, সেক্রেটারি মাওলানা তরিকুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা আবদুল মমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইউসুফ আদনান, ইসলামি শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ এর জেলা সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী, ইসলামী যুব আন্দোলন এর জেলা সভাপতি এইচ এম ইব্রাহিম খলিল, শিক্ষক ফোরামের জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলা উত্তর এর সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ আল আমীনসহ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রমের প্রাইমারি স্তর থেকে সর্বোচ্চ মাস্টার্স পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। আলিয়া মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্রতা বজায় রাখার স্বার্থে দাখিল পর্যায়ে ৫০০ নম্বরের আরবি শিক্ষা পূর্বের ন্যায় বহাল রাখতে হবে। ইসলাম শিক্ষা পাঠ্যবইয়ের নাম ‘মূল্যবোধ ও নৈতিকতা’ কিংবা অন্য কিছু নয়, ‘ইসলাম শিক্ষা’ই রাখতে হবে। অন্যান্য ধর্মশিক্ষার ক্ষেত্রেও স্ব-স্ব ধর্মের নামে থাকতে হবে।
মানববন্ধনে দাবি সমূহ –
১. শিক্ষা কারিকুলাম প্রনয়নে, অভিজ্ঞ, দীনদার আলেমদেরকে সম্পৃক্ত করা।
২. শিক্ষার সর্বস্থরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক ও সকল পরিক্ষায় আবশ্যিক করা।
৩.ডারউইনের অপ্রমাণিত, ভ্রান্ত ও বির্তকিত বির্বতনবাদ শিক্ষার সকল স্তর থেকে বাদ দেওয়া।
৪. পাঠ্য পুস্তকের সকল বিষয়ে হতে অনৈসলামিক ও ইসলামী বিশ্বাস বিরোধী বিষয় এবং শব্দ সমূহ বাদ দেওয়া।
৫. ইসলাম ধর্ম শিক্ষার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ‘ কুরআনুল কারীম ‘ শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা।
৬. মাদ্রাসা শিক্ষার কারিকুলাম, শিক্ষানীতি -২০১০ অনুযায়ী মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট আলেম, দীনদার শিক্ষকদের দ্বারা পূর্ণমার্জন করা
৭.নৈতিকতা সমৃদ্ধ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে সকল ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য নিজ নিজ ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা। ৮. বাংলা, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান ও ইতিহাস বই হতে বিতর্কিত ও ইসলামী আকিদা বিরোধী প্রবন্ধসমূহ বাদ দেওয়া। ৯. স্কুল ও মাদরাসার সকল পাঠ্যপুস্তক অপ্রয়োজনীয় এবং অশ্লীল চিত্রমুক্ত রাখা। ১০. যেহেতু এদেশের সাধারণ জনগণই এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যয়ভারের সিংহভাগ বহন করেন, সেহেতু জোর করে চাপিয়ে দেওয়া শিক্ষা ব্যবস্থা নয় বরং এ দেশবাসীর ধর্মীয় চেতনার অনুকূল শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা।
মানববন্ধন শেষে একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি পেশ করেন জেলা প্রশাসনের নিকট।