সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল : ১৯৯৮ সালে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর ওপর নির্মিত হওয়া বঙ্গবন্ধু সেতু ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২৩ জেলার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র প্রবেশদ্বার। সেতু দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১২ থেকে ১৩ হাজার ছোট-বড় যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। কিন্তু ঈদের সময়ে যানবাহনের চাপ বেড়ে তিন-চারগুণ হয়। এতে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে-এলেঙ্গা মহাসড়কটির ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ২ লেন থাকায় চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও যানবাহন।
গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়ক ৪ লেনের সুবিধা থাকলেও এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার ২ লেন থাকায় প্রায় সারা বছরই সড়কটি যেন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। দুর্ঘটনায় ঘটে প্রাণহানি, হয় আহত। দীর্ঘ দিনের এমন সীমাহীন ভোগান্তি ও দুর্ভোগের পর মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার চার লেনের কাজ শুরু করেছে আব্দুল মোনেম লিমিটেড নামে একটি দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এক বছর আগে এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতু ১৩ কিলোমিটার মহাসড়কটির দক্ষিণ পাশে বিভিন্ন স্থানে মাটি ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। প্রশস্তকরণের কাজ করছে শ্রমিকরা।
মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রী, চালক ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিনের ভোগান্তি ও দুর্ভোগ শেষে কাজ শুরু হয়েছে। মহাসড়কের পাশে মাটি ফেলা হচ্ছে। সব মিলিয়ে কচ্ছপের গতিতে কাজ চলছে। এ দুই লেনের চলমান কাজ শেষ হলে জনভোগান্তি থাকবে না। চলমান কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার দাবি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, সংযোগ সড়ক প্রকল্প (সাসেক) ফেইজ-২ এর অধীনে এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পে ১৩.৬ কিলোমিটার মহাসড়কে ১টি ফ্লাইওভার, ৮টি ব্রিজ, ১০টি কালভার্ট ও ২টি আন্ডারপাসসহ একটি সার্ভিস লেন নির্মাণ করা হবে। প্রায় ৬০১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ লেনসহ এসএমভিটি (সার্ভিস লেন) করার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থা। প্যাকেজ- ৫ এর অধীন এ কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু সেতু (বিবিএ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী ও এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব চার লেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, ২০২১ সালে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ৩ বছরের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে মাটি ফেলার কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। আশা করছি যথা সময়ে মহাসড়কের কাজ শেষ হবে।
এস.আই/