৮ সেপ্টেম্বর ( শুক্রবার) দুপুর তিনটায় মহানগর সভাপতি এম শাহরিয়ার হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবির হাসানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, যারা প্রথমে কাজের সূচনা করেন তারা কৃতিত্বের দাবিদার। তারা কাজ শুরু করার মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের যারা এই মোবারক কাজে যুক্ত হয়ে ভালো কাজ করবে, তাদের সওয়াবের অংশ প্রথম কাজ সূচনাকারীর আমলনামায় যুক্ত হবে হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী।
তিনি বলেন, আজকের একজন ছাত্র আগামী দিনের জনপ্রতিনিধি, পার্লামেন্ট মেম্বার আল্লাহ চাইলে হতে পারে। নিরাশার অন্ধকারে হাবুডুবু খাওয়া কোন আর্দশ ছাত্রের বেশিষ্ট্য নয়। বরং স্বপ্ন দেখা ও কাঙ্খিত গন্তব্যে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই আর্দশ ছাত্রের বেশিষ্ট্য। এজন্য সর্বপ্রথম আমাদের নিজেদেরকে চিনতে হবে। নিজেদের দল সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে আমাদের পথ চলা সুন্দর হবে। যদি আমরা দলের ইতিহাস-ঐতিহ্য না জানি তাহলে মাঝ পথে ছিনতাই বা হারিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আর যদি ইতিহাস-ঐতিহ্য জানা থাকে তাহলে আমাকে মিসগাইড কেউই করতে পারবে না।
তিনি আরোও বলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে স্বাধীনতাকামী মানুষের পক্ষে জোরালো ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশের ইতিহাসে নিজেদের অবস্থান করে রেখেছে। এজন্য জমিয়তকে নিয়ে কেউই ব্যঙ্গ করে একথা বলতে পারবে না যে মুক্তিযুদ্ধে আপনাদের ভূমিকা কি ছিল? এমন প্রশ্ন এই দল সম্পর্কে তোলার সুযোগ নেই। অতএব মুক্তিযু্দ্ধ যেরকম জানার বিষয় তেমনি জমিয়তের ইতিহাস জানার দরকার রয়েছে।
উক্ত কাউন্সিল ও কর্মী সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক কাউসার আহমদ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে কাউসার আহমদ বলেন, ছাত্র জমিয়ত একটি ঐতিহ্যবাহী কাফেলা। যার সূচনা হয়েছিলো দেশের একটি ক্রান্তিকালে। ব্যক্তি গঠন, ইসলামি শিক্ষা ও সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে ১৯৯২ সালের ২৪ জানুয়ারি শুরু হয় এর পথ চলা। আদর্শহীন ছাত্র রাজনীতির নগ্ন থাবা থেকে ভবিষ্যত প্রজন্মকে উদ্ধারের মানসে ছাত্র জমিয়তের প্রতিষ্ঠা করা হয় ।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা হিজাবের স্বাধীনতা নিয়ে যে দাবি করে আসছে আমরা তার সহমত জানাই। অচিরেই তাদের দাবি মেনে নিয়ে হিজাব পরে স্বাধীনভাবে তাদের কে নিজ নিজ শিক্ষা বিভাগে অংশগ্রহনের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বরিশাল মহানগর জমিয়তের প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী নোমান আহমদ, জমিয়ত নেতা মুফতী মুজাহিদুল ইসলাম ও মুফতী রফিকুল ইসলাম।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাআদ বিন জাকির, জেলা ছাত্র জমিয়তের সভাপতি আব্দুর রহমান ছাব্বিত, সাধারণ সম্পাদক আহমদ শিহাব উদ্দিন ও বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্বশীলবৃন্দ।
উক্ত কাউন্সিলে সকলের মতামতের ভিত্তিতে তামিম কে সভাপতি ও জুবায়ের হাসান আবির কে সাধারণ সম্পাদক এবং তানভীর আহমেদ কে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচন করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়৷