আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল আওয়াল এর সভাপতিত্বে, ১৪৪৫ হিজরি নববর্ষের স্বাগত র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
বারান্দীপাড়া জেলা কার্যালয় থেকে চৌরাস্তা হয়ে প্রেসক্লাব চত্বরে র্যালী শেষ করা হয়।
র্যালী শেষে নেতৃবৃন্দ বলেন, হিজরি সন ও তারিখ অবগত থাকা মুসলমানদের জন্য ফরজে কেফায়া। হিজরী ইসলামী সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। হিজরী সন আমাদের প্রীয় নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মক্কা থেকে মদিনা হিজরতের ঐতিহাসিক তাৎপর্যময় ঘটনার অবিস্মরণীয় স্মারক। হজরত ওমর (রা.) তার খিলাফতকালে হিজরতের ১৭তম বর্ষে হিজরী সন গণনা শুরু করেন।
হিজরতের ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মারক বানিয়ে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.) হিজরী সনের গোড়াপত্তন করেন। তিনিই সর্বপ্রথম মুসলমানদের জন্য পৃথক ও স্বতন্ত্র চান্দ্রমাসের পঞ্জিকা প্রণয়ন করেন।
হিজরতকে মূল্যায়ন করা হয় আল ফারিকু বাইনাল হাক্কি ওয়াল বাতিল অর্থাৎ সত্য-মিথ্যার মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্যকারী বিষয় হিসেবে। হিজরতের পর থেকেই মুসলমানরা প্রকাশ্য ইবাদত ও সমাজ-গঠনের রূপরেখা বাস্তবায়ন করতে পেরেছিলেন। প্রকাশ্যে আজান, নামাজ, জুমা, ঈদ ও অন্য সবকিছু হিজরতের পর থেকেই শুরু হয়েছে। এ সব তাৎপর্যের দিকে লক্ষ্য করেই মুসলমানদের সন গণনা হিজরত থেকেই শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
হিজরী সনের প্রভাব মুসলমানদের জীবনে ব্যাপক। জীবনের সব ক্ষেত্রেই এর প্রভাব ও গুরুত্ব আছে। বিশেষত ইবাদতের তারিখ, সময় ও মৌসুম নির্ধারণের ক্ষেত্রে হিজরী সনের প্রভাব ও গুরুত্ব অপরিসীম। এ কারণে হিজরী সনের হিসাব স্মরণ রাখা মুসলমানদের জন্য জরুরি। ধর্মীয় অনেক ক্ষেত্রেই হিজরী সনের প্রভাব আছে। যেমন- রমজানের রোজা,দুই ঈদ, হজ, যাকাত ইত্যাদি।
তাই ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ হিজরি সনকে ইসলামী সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং দেশবাসীকে হিজরি সনকে উদযাপনের জন্য আন্তরিক আহবান করছে।
স্বাগত র্যালীতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ফয়েজ গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ ইমরান হুসাইন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আবুল হাসান, তথ্য গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ আজিজুর রহমান, কওমী মাদরাসা সম্পাদক মুহাম্মাদ রেজওয়ান আহমাদ, স্কুল ও কলেজ সম্পাদক মুহাম্মাদ শাকিল আহমেদ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুহাম্মাদ আরিফ বিল্লাহ প্রমুখ।