ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই বলেছেন, ‘একটি স্বাধীন দেশে দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস শোনা, ব্যাংকখাতে হরিলুট হতে দেখা, নির্বাচন কেন্দ্রীয় যুদ্ধাবস্থা দেখার মতো দুভার্গ্য আর কিছু হতে পারে না। দুঃখজনক সত্য হলো, স্বাধীনতার ৫১ তম বছরে এসে আজ এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে, যার একমাত্র কারণ বিগত শাসকগোষ্ঠীর অনুসৃত ভুলনীতি, অসৎ চরিত্র, ক্ষমতার লিপ্সা, অদক্ষতা।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘এই পরিস্তিতি চলতে দেয়া যায় না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জাতিকে এই দুরাবস্থায় ফেলতে দেবে না। সেজন্য আগামী ২ জানুয়ারী দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ। উক্ত সম্মেলন থেকেই আগামী নেতৃত্ব গঠন করা হবে এবং ২০২৪-এর জাতীয় নির্বাচনের চূড়ান্ত রূপরেখা ঘোষণা করা হবে।’
পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মজলিসে আমেলার এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লা মাদানী, নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক : মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ লতিফ, মাওলানা শোয়াইব আহমাদ, জি এম রুহুল আমীন, উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মো. হারুন অর রশীদ, মাওলানা নূরুল ইসলাম আল আমিন, মুহাম্মদ মনির হোসেন, মুফতী হেমায়েতুল্লাহ, মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মুফতি সৈয়দ এসহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, মাওলানা নেছার উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মো. লুৎফর রহমান শেখ, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, জান্নাতুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, অধ্যক্ষ মাওলানা মো. মকবুল হোসাইন প্রমুখ।
এদিকে ২ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য দলের জাতীয় সম্মেলন ২০২৩ সফলে ইতোমধ্যে সারা দেশের ৬৫২টি থানা শাখার সভাপতি ও সেক্রেটারিদের নিয়ে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে থানা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সাড়ে ৫ শতাধিক থানা প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। দলের আমীর আগামীতে করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করেন। এরপর জেলা সভাপতি, সেক্রেটারীদের নিয়েও জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
পীর চরমোনাই বলেন, দ্বাদশ নির্বাচনের আগে সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে একটি জাতীয় সরকারের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এটা সরকার বুঝতে ব্যর্থ হলে দেশে সঙ্কট মারাত্মক আকার ধারণ করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।