দীর্ঘ মন্দা কাটিয়ে বেশ ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে দেশের শেয়ারবাজার। এ পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়ার কথা থাকলেও গত জুনে এক লাখের ওপর বিও হিসাব কমেছে।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশের (সিডিবিএল) বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবের তথ্যে এই চিত্র উঠে আসে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিও হিসাব কমার মূল কারণ প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) নতুন নীতিমালা। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী এখন আইপিওতে আবেদন করতে প্রতিটি বিওতে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে। এ কারণে আগে যেসব বিনিয়োগকারী শুধু আইপিও করার জন্য বিও হিসাব খুলতেন, তারা তা বন্ধ করে দিয়েছেন।
তারা আরও বলেন, বিও হিসাবের ভিত্তিতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারী কমলেও প্রকৃত বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে। কারণে আগে অনেকেই শুধু আইপিও আবেদন করার জন্য নামে-বেনামে বিও হিসাব খুলতেন।
এসব বিও হিসাব থেকে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ হতো না, শুধু আইপিও আবেদন হতো। কিন্তু এখন যেহেতু আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, সে কারণে শুধু আইপিও’র জন্য খোলা হিসাবগুলো বিনিয়োগকারীরা বন্ধ করে দিচ্ছেন।
সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, গত ১ জুলাই বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ ২৮ হাজার ৭৭০টি, যা ১ জুন ছিল ২৬ লাখ ৫৭ হাজার ৯০২টি। অর্থাৎ বিও হিসাব কমেছে ১ লাখ ২৯ হাজার ১৩২টি।
বিও হলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্রোকারেজ হাউস অথবা মার্চেন্ট ব্যাংকে একজন বিনিয়োগকারীর খোলা হিসাব। এই বিও হিসাবের মাধ্যমেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে লেনদেন করেন। বিও হিসাব ছাড়া শেয়ারবাজারে লেনদেন করা সম্ভব নয়।
সিডিবিএল’র তথ্য মতে, গত এক মাসে পুরুষ ও নারী উভয় ধরনের বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা। বেড়েছে কোম্পানি বিনিয়োগকারী সংখ্যা।