চা কম-বেশি সবারই পছন্দের। সময়ের সঙ্গে এর স্বাদে ভিন্নতা আনতে যেমন বিভিন্ন ধরনের চা তৈরি করা হয়েছে, একই সঙ্গে পরিবর্তন এসেছে পরিবেশনে।
একসময় মগ ও প্লাস্টিকের কাপে চা পানের প্রচলন দেখা গেলেও এখন ভিন্নমাত্রা যোগ হয়েছে তাতে। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত বিভিন্ন মোড় কিংবা স্ট্রিট ফুডের পাশে মাটির ভাঁড়ে চা পানের রীতি দেখা যায়।
মাটির ভাঁড়ে চা পান অনেকটাই এখন ফ্যাশনের মতো হয়ে গেছে। বন্ধুমহলে আড্ডা কিংবা দুপুরে লাঞ্চ বা সন্ধ্যায় নাশতার পর মাটির ভাঁড়ে চা পান অনেকেরই আবার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই মাটির ভাঁড়ে চা পান করা স্বাস্থ্যসম্মত না ক্ষতিকর―এ নিয়ে মাঝে মাঝে তর্ক-বিতর্ক দেখা যায়।
এ ব্যাপারে রাজধানীর মিরপুর-১ এর ল্যাবএইড হাসপাতালের পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনিমের ভাষ্য, সাধারণত বাজারে যেসব প্লাস্টিকের কাপে চা পরিবেশন করা হয়, তা খুবই নিম্নমানের কাপ। সেসব প্লাস্টিকের কাপ তৈরিতে ব্যবহৃত উপাদান যদি কোনোভাবে শরীরে বেশি মাত্রায় প্রবেশ করে, তাহলে ক্লান্তিবোধ, হরমোনাল ইমব্যালেন্স ও মস্তিষ্কের কার্যকরিতা হ্রাস পায়। এছাড়াও ছোট ছোট বিভিন্ন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই হিসেবে প্লাস্টিকের কাপের তুলনায় মাটির ভাঁড়ে চা পান করা ভালো।
অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করে: অনেকেরই অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে। তারা দুধ চা পান করলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এদিকে মাটির ভাঁড়ে অ্যালকালাইন থাকায় এই ভাঁড়ে চা পান করলে অ্যাসিডিটির সম্ভাবনা তেমন থাকে না।
পুষ্টিগুণ: মাটিতে খনিজ, ফসফরাস, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো বিভিন্ন উপাদান থাকে। যা শরীরের জন্য উপকারী। এ জন্য মাটির তৈরি কাপ বা ভাঁড়ে চা পান করলে কিছুটা উপকার পাওয়া যায়। আর প্লাস্টিকের কাপের সঙ্গে তুলনা করলে মাটির ভাঁড় নিরাপদ।
আসলেই কি স্বাস্থ্যকর: বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সময় প্লাস্টিকের বোতল, কাপ পরিহার করতে বলে থাকেন। প্লাস্টিকের কাপে গরম চা বা অন্য কিছু ঢালার পর রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। বিপরীতে মাটির তৈরি ভাঁড় কিন্তু এ ধরনের ক্ষতি করে না শরীরের। বরং বলা যায় মাটির তৈরি ভাঁড় স্বাস্থ্যকর।
সূত্র : চ্যানেল 24