শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ রমজান, ১৪৪৫ হিজরি | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | বসন্তকাল | বিকাল ৫:৪২

শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ রমজান, ১৪৪৫ হিজরি | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | বসন্তকাল | বিকাল ৫:৪২

লঞ্চে যাত্রী ঠাসাঠাসি, ভাড়া কেন ৬০ শতাংশ বেশি?

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram
  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১২:০৮ অপরাহ্ণ
  • বিকাল ১৬:২৮ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৮:১৫ অপরাহ্ণ
  • রাত ১৯:২৮ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

হঠাৎ করে সারা দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না ঢাকা-চাঁদপুর নৌ-পথে চলাচলকারী লঞ্চগুলো। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া নিলেও দ্বিগুণ যাত্রী পরিবহন করছে লঞ্চগুলো। রবিবার (২০ জুন) রাতে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে এ দৃশ্য দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, লঞ্চের নিচতলায় গাদাগাদি করে যাত্রী তোলা হচ্ছে। লঞ্চে ওঠানামার সময় ধাক্কাধাক্কি লেগে যায়। স্বাস্থ্যবিধি মানা তো দূরের কথা অনেকের মুখে মাস্কও দেখা যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন স্থানের যাত্রীরা চাঁদপুর লঞ্চঘাট হয়ে বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করেন। প্রতিদিন ঢাকা-চাঁদপুর নৌ-পথে চলাচল করে প্রায় অর্ধশতাধিক ছোটবড় লঞ্চ।

যাত্রীদের অভিযোগ, করোনা সংক্রমণরোধে বেশিরভাগ লঞ্চে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা রাখার কথা ছিল। কিন্তু কোনও লঞ্চেই এসবের ব্যবস্থা নেই। ঘাটে এসব বিষয়ে নজরদারি করতে দেখা যায়নি নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্টদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে লঞ্চের কয়েকজন স্টাফ জানিয়েছেন, লঞ্চের ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ায় লাভ হয়েছে মালিকপক্ষের। যাত্রী কম নেওয়ার বিষয়টি শুধু কাগজে-কলমে রয়েছে। লঞ্চ ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের আগ পর্যন্ত যত যাত্রী আসে সবাইকে তুলতে বলা আছে। কতজন উঠেছে তার হিসাব নেই। করোনা সংক্রমণরোধে বিধিনিষেধের বিষয়টি যাত্রী নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের মাথায় থাকে না। প্রত্যেক লঞ্চে একই অবস্থা।

লঞ্চঘাট ঘুরে দেখা গেছে, চাঁদপুর ঘাট থেকে ঢাকায় যাওয়া লঞ্চগুলো ডেকের চেয়ারে বসা যাত্রীদের কাছ থেকে ২৮০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে। যা আগে ছিল ১৮০ টাকা। ডেকে বসা যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ১৫০ টাকা। যা আগে ছিল ১০০ টাকা। লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের ঠাসাঠাসি। স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই।

তবে লঞ্চের প্রথম শ্রেণির আসনের ভাড়া বেশি নিলেও কিছুটা স্বস্তি আছে। সেখানে আসন ফাঁকা রেখে দূরত্ব বজায় রাখছেন যাত্রীরা। কিন্তু লঞ্চ থেকে নামার সময় দূরত্বের কথা ভুলে যান তারা। সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলো চাঁদপুর ঘাটে নোঙর করার আগেই যাত্রীরা নামার জন্য অস্থির হয়ে যান। শেষমেশ ধাক্কাধাক্কি করে নামেন সবাই।

এমভি ইমাম হাসান-২ লঞ্চযোগে ঢাকা থেকে চাঁদপুর আসা জাহিদুল কবির বলেন, ঢাকা থেকে দাঁড়িয়ে এসেছি। ভাড়া নিয়েছে ১৫০ টাকা। যা আগে ছিল ১০০ টাকা। যাত্রী দ্বিগুণ নিয়েও কেন ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে? করোনার কথা বলে আমাদের পকেট কাটছেন লঞ্চমালিকরা।

লঞ্চে যাতায়াতের সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিংবা হাত ধোয়ার সাবান পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব কোনও লঞ্চেই নেই। মানুষ তো সামাজিক দূরত্বই মানে না।

একই লঞ্চের যাত্রী মো. নাফিজ বলেন, লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। নামার সময় যাত্রীদের যে অবস্থা দেখেছি, তাতে মনে হয় করোনা সংক্রমণ বাড়তে এটাই যথেষ্ট। এত যাত্রী পরিবহনের পরও ভাড়া বেশি নেওয়ার কারণ বুঝলাম না। সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের জন্য প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

বোগদাদীয়া লঞ্চের সুপারভাইজার আজগর আলী বলেন, যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বললেও শোনে না। কে কার আগে লঞ্চে উঠবে, নামবে সে চিন্তা করে সবাই। মাস্ক রাখে পকেটে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করছি। যাত্রীদের সচেতন করি। কিন্তু কে শোনে কার কথা।

তিনি বলেন, প্রথম শ্রেণির আসনের ভাড়া আগে ছিল ৩০০ টাকা, এখন নিচ্ছি ৪০০ টাকা। দ্বিতীয় শ্রেণির ভাড়া ১৫০ টাকার স্থলে ২৫০ টাকা নেওয়া হয়। কেবিনের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। বর্তমানে এসি ডাবল কেবিনের ভাড়া নেয়া হচ্ছে লঞ্চ ভেদে এক হাজার থেকে ১২শ টাকা। সিঙ্গেল এসি কেবিন ৬০০ এবং নন-এসি ৫০০ টাকা। এর বাইরে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চাঁদপুর লঞ্চঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, লঞ্চগুলোতে এখন এমনিতেই যাত্রী কম। তারপরও মাঝেমধ্যে দু’একটি লঞ্চ যাত্রী বেশি নেয়। আমরা ঘাটে থাকি সবসময়। স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়টি আমরা কীভাবে দেখবো। এগুলো দেখার কথা স্থানীয় প্রশাসনের। তারা অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেবে।

চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর বন্দর কর্মকর্তা কায়সারুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে লঞ্চের মালিকপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে- ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী হলেই লঞ্চ ঘাট থেকে ছেড়ে দিতে হবে। মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। হয়তো এখন এসব মানার প্রবণতা কিছুটা কমেছে।

তিনি বলেন, আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। তারপরও আমরা এসব বিষয় নজরদারিতে রেখেছি। মাঝেমধ্যে আমি ঘাটে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবস্থান করি। কিন্তু ঘাট থেকে সরে গেলেই লঞ্চগুলো বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে। অতিরিক্ত যাত্রী নেয়। এক্ষেত্রে যাত্রীদেরও সচেতন হতে হবে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram

Leave a Comment

সর্বশেষ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

এইচ এম মাহমুদ হাসান-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, দেশবিরোধী সকল আধিপত্যবাদী শক্তিকে সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে। দেশ স্বাধীন হয়েছে দিল্লির গোলামির জন্য নয়; মাথা উঁচু করে নিজের অধিকার আদায়ের জন্য। স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগের হাতেই আজ স্বাধীনতা ও দেশ বিপন্ন।

দিল্লির গোলামীর জন্য মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেনি-ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে

  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১২:০৮ অপরাহ্ণ
  • বিকাল ১৬:২৮ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৮:১৫ অপরাহ্ণ
  • রাত ১৯:২৮ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ