জোয়ারের সময় আর বৃষ্টি হলেই দারোগাপাড়া পানির নিচে চলে যায়। হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানিবন্দি হয়ে পড়েন হাজার হাজার মানুষ।
বর্তমানে জোয়ার চলছে। এখন হাঁটু পানি। জোয়ারের পানি নামতে প্রায় চায় ঘণ্টা সময় লাগে। এ দীর্ঘ সময় দুর্বিসহ অবস্থার মধ্যে থাকতে হয় আমাদের।
খুলনা মহানগরের দারোগাপাড়ার বাসিন্দা চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে বাংলানিউজকে এ দুর্বিসহ অবস্থার কথা তুলে ধরেন।
তিনি জানান, দারোগাপাড়ার আজিজুর রহমান সড়কের দুই/তিনটি ড্রেনের কালভার্ট ভেঙে গেছে। সম্প্রতি জোয়ারের পানিতে না দেখে একজন ড্রেনে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে জোয়ারের পানি খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুল ও কেসিসি উইমেন্স কলেজের মাঠে থৈ থৈ করছে। জাহাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের নির্মাণকাজ জোয়ারের পানির জন্য বন্ধ আছে।
একই এলাকার বাসিন্দা মাহমুদুর রহমান বলেন, জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় পুরো এলাকা। জোয়ার-ভাটার খেলা চলে এ এলাকায়। এতে নারী-শিশু-বৃদ্ধসহ পথচারীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।
টিবিক্রস রোডের বাসিন্দা মাহবুবুল আলম বলেন, চলমান বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। বর্তমান জোয়ারের পানিতে রিকশাও ডুবে যাচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সড়কটি দিয়ে চলাচলকারীদের।
সাহেবখালি খালের স্লুইস গেট জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় জোয়ারের পানি ঠেকাতে পারছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। আর খুলনা সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, রূপসা নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে যাওয়ায় জোয়ারের চাপে পানি উপচে শহরে ঢুকছে।