পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, তার সরকার মদিনা সনদের ভিত্তিতে পাকিস্তানকে একটি ইসলামিক কল্যাণ রাষ্ট্র বানাতে চায়, যেখানে অভিজাতদের জন্য ভিন্ন কোনো নমনীয়তা থাকবে না। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইসলামিক স্কলার শায়খ হামজা ইউসুফের সাথে একটি অনলাইন সাক্ষাৎকারে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ন্যায়বিচার সকল নাগরিকের জন্য সমান হওয়া দরকার উল্লেখ করে ইমরান বলেন, সভ্য সমাজের মৌলিক নীতিগুলোর অন্যতম হল ক্ষমতাবানদের আইনের আওতায় আনা। অথচ আমাদের জেলগুলো কেবল গরীবদের দ্বারা পূর্ণ, অভিজাতদের দ্বারা নয়। এক্ষেত্রে যারা সিস্টেমটি দখল করে থাকে, তারা অন্যদের জন্য সমান সুযোগ দেয় না।
ইমরান খান বলেন, খুব কম লোকই মানবতার জন্য রাজনীতিতে আসে। বেশিরভাগ রাজনীতিবিদ উন্নয়নশীল দেশে অর্থ উপার্জন করতে আসেন এবং খুব কমই জিন্নাহ ও ম্যান্ডেলার পদাঙ্ক অনুসরণ করেন।
ইমরান খান তার স্বপ্নের কথা জানিয়ে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিকে মদীনা সনদের ভিত্তিতে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়েই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
ইমরান মনে করেন, তার দেশ পাকিস্তানে প্রচুর সম্ভাবনা, বৈচিত্র্যময় ও প্রতিভাবান জাতিগোষ্ঠী রয়েছে। কিন্তু অনাচারের কারণে সমাজের সম্ভাবনাগুলো অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না।
মাফিয়াদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমার সরকার তাদের দুর্নীতি আড়াল করতে কোনো জোটের সামনে মাথা নত করবে না। আমি তাদের সামনে আত্মসমর্পণ করব না এবং তারা পাকিস্তানের সাথে যা করেছে, তার জন্য আমি তাদের ছেড়ে দেব না।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্সের কথা পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, তারা যাই করুক না কেন- তারা যত চেষ্টাই করুক না কেন তাদের দুর্নীতি এবং তারা এই দেশের জন্য যা করেছে, তার জন্য তাদের মূল্য দিতে হবে।