রাজবাড়ী থেকে মোটরসাইকেলে চড়ে রাজধানীতে করোনার ভ্যাকসিন নিতে এসেছিলেন মিজানুর রহমান। কিন্তু তার মোটরসাইকেলে দুই জন যাত্রীও ছিল। গাবতলী চেকপোস্টে চেক পোস্টে পৌঁছালে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, যিনি মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন, তার কোনও ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। লডডাউন চোকালে বিধিনিষেধ অমান্য করার অপরাধে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়।
ভিসার কাজের জন্য সাভার থেকে রাজধানীতে এসেছিলেন ওবায়দুরের বড় ভাই। ওবায়দুর গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পুলিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে, তিনি পুলিশ কর্মকর্তাকে একটি লারনার কার্ড দেখান। সেটিরও তারিখ পেরিয়ে গেছে গত মার্চে। ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় এবং দুজন যাত্রী পরিবহনের বিষয়টি প্রতীয়মান হওয়ায় কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মানিকগঞ্জ থেকে গাড়ি সার্ভিসিং করার জন্য প্রাইভেটকার নিয়ে রাজধানীর মিরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন আমির হোসেন। গাবতলী চেকপোস্টে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং কাগজপত্র চেক করে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা জানতে পারেন, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে ৭ মাস আগে। আগামী ১৫ তারিখ থেকে সড়কে গাড়ি চলবে সেজন্য আগে থেকেই প্রাইভেটকারটি সার্ভিসিং করানোর জন্য মিরপুরের একটি ওয়ার্কশপে নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানান আমির। আমির হোসেন পুলিশকে জানান, গাড়িটি সার্ভিসিংয়ের জন্য আনা হয়েছে। কারণ, ১৫ তারিখ থেকে গাড়ি চললে তখন ভাড়ায় বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া সম্ভব হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় এবং সরকারি নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগে তারও নামে মামলা দেওয়া হয়।