মার্কিন সেনা প্রত্যাহারেই পাল্টে গেছে আফগানিস্তানের পুরো পরিস্থিতি। শেষ এক সপ্তাহের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বোঝা গেছে, গত ২০ বছর ধরে যত প্রশিক্ষণই দেয়া হোক না কেন, কাজে আসেনি কিছুই। সরকার হোক বা সামরিক বাহিনী, দেশের গণতন্ত্র হোক বা বিদেশি দূতাবাস সবই টিকে ছিল মার্কিন সেনাদের ভরসায়।
তাই সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর খুব দ্রুত সবকিছু পাল্টে যায়। এক সপ্তাহে ১৮টি প্রদেশ দখল করে তালেবান এখন কাবুলের দোরগোড়ায়। এ অবস্থায় আফগানিস্তানে দূতাবাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের অনেকগুলো দেশ।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেপ্পে কফোড গতকাল শুক্রবার জানান, কাবুল দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। একইদিনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস বলেন, নিজেদের দূতাবাসের কার্যক্রম খুবই সীমিত করে ফেলেছে বার্লিন। কাবুলে নিজেদের দূতাবাস সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে নরওয়ে। সেইসঙ্গে নিজেদের সব কর্মী প্রত্যাহারের কথা জানায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ফিনল্যান্ডও ঘোষণা দিয়েছে, কাবুলে নিজেদের দূতাবাসে থাকা সব কর্মীকে দ্রুত সরিয়ে নিচ্ছে। অন্যদিকে আফগানিস্তানে থাকা ফরাসি নাগরিকদের দ্রুত সরে যেতে ফের আহ্বান জানিয়েছে ম্যাক্রোঁ সরকার। দূতাবাস বন্ধে আফগানিস্তানে ফোর্স পাঠিয়েছে কানাডা। আর ভারতও আফগানিস্তান থেকে তদের কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা করেছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো তাদের দূতাবাস বন্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। বরং তারা তাদের দূতাবাস নিরাপদে রাখার জন্য তালেবানের প্রতি আহ্বান জনিয়েছে।