শনিবার | ৬ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯ জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি | ২২ আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বর্ষাকাল | রাত ১২:১০

শনিবার | ৬ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯ জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি | ২২ আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বর্ষাকাল | রাত ১২:১০

রাষ্ট্রপতির সাথে খেলাফত আন্দোলনের সংলাপ অনুষ্ঠিত

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram
  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৩:৫২ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১২:০৭ অপরাহ্ণ
  • বিকাল ১৬:৪২ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৮:৫৪ অপরাহ্ণ
  • রাত ২০:২০ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ

আজ ৩ জানুয়ারি সোমবার একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন সংলাপ অংশগ্রহণ করেন।

খেলাফত আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ দেশ ও জাতির স্বার্থে অবাধ, সুষ্ঠু, অর্থবহ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্যে সকল দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যাপারে সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি স্থায়ী আইন প্রণয়ন করাসহ ৬ দফা প্রস্তাব পেশ করেন।

সংলাপে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন, দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা সাঈদুর রহমান, মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন ও আলহাজ আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি।

সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং দেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন।

লিখিত বক্তব্যে মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের অন্যতম কারণ হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন না হওয়া। এতে গণতান্ত্রিক রাজনীতি যেমন বিপন্ন হয়ে পড়েছে তেমনি বাংলাদেশের ভাবমর্যাদারও অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এ অববস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি আমানতদার,শক্তিশালী, সক্ষম, নিরপেক্ষ, দক্ষ ও যোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা আবশ্যক। যে নির্বাচন কমিশন প্রত্যাশিত নির্বাচন অনুষ্ঠানে সফল হবে এবং তার মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংকটের অবসান ঘটবে। এ জন্য গোটা জাতি এখন তাকিয়ে আছে রাষ্ট্রের অভিভাবক মহামান্য রাষ্ট্রপতির কার্যকর ভ‚মিকার দিকে।

একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রস্তাবাবলি:

১। নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত একটি আইন করার যে নির্দেশনা সংবিধানে আছে, সে অনুযায়ী আজ ৫০ বছরেও কোনো স্থায়ী আইন করা হয়নি। আইন হলে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে কখনো বিতর্ক হতো না। নির্বাচন কমিশন গঠনে আইনের অনুপস্থিতিতে সার্চ কমিটি গঠন করতে হচ্ছে। সার্চ কমিটি নির্দলীয় ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত না হলে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা সম্ভব নয়। অতএব দেশ ও জাতির স্বার্থে অবাধ, সুষ্ঠু, অর্থবহ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্যে সকল দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যাপারে সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি স্থায়ী আইন প্রণয়ন করা সময়ের দাবি।

২। সৎ, নিষ্ঠাবান, যোগ্যতাসম্পন্ন এবং নিরপেক্ষ-নির্দলীয় ব্যক্তির সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা। কমিশনারগণ নীতিগতভাবে আল্লাহ ভীরু, বিজ্ঞ,ক্ষমতাসম্পন্ন, সৎসাহসী ও ন্যায়-নীতি পরায়ন হওয়া অতীব জরুরী। এমন গুণে গুণান্বিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আপনার দূরদর্শিতায় সংবিধান মতে কমিশন গঠন করবেন- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

৩। নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনে সাধারণত সবাই নতুন থাকেন। তাই নবীন-প্রবীনের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে নির্বাচন কমিশনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়ক হবে।

৪। বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মত বাংলাদেশেও যেন নির্বাচন কমিশন বাস্তবেই স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজ দায়িত্ব পালনে সক্ষম হয়।

৫। ধর্মবিদ্বেষী, চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ, কালোটাকার মালিক, অবৈধ সম্পদকে বৈধকারী, খুনি, সন্ত্রাসী ও সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী এবং ঋণখেলাপীদের সাথে জড়িত পরিবারবর্গকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকেও। নির্বাচিত হওয়ার পরও যদি মেডিক্যাল টেষ্টে মদ, গাঁজা ফেন্সিডিল, হিরোইনসহ নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহনের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলেও তার সদস্যপদ বাতিল করা বাঞ্চনীয়।

৬। নির্বাচন কমিশন কর্র্তৃক রাজনৈতিক দলগুলোর সকল কমিটিতে ৩৩% মহিলা সদস্য রাখা বাধ্যতামুলক করা হয়েছে যা নারীদের জোর করে রাজনীতি করতে বাধ্য করার শামীল। তাই এই ধারাটি ঐচ্ছিক রাখার আবেদন করছি।
মাওলানা আতাউল্লাহ আরো বলেন, আমরা আশা করি বর্তমান দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে এবং নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রস্তাবাবলি সহায়ক হবে। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কিত বিতর্কের চির অবসান ঘটবে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram

Leave a Comment

সর্বশেষ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

দেশবিরোধী সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে, ভারতের রেল বাংলাদেশে চলতে দেয়া হবে না – প্রিন্সিপাল আব্দুল আউয়াল

এম শাহরিয়ার তাজ, খুলনা প্রতিনিধি: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর ও খুলনা মহানগর সভাপতি প্রিন্সিপাল আব্দুল আউয়াল বলেছেন, বর্তমান ডামি সরকার দেশবিরোধী ১০টি সমঝোতা চুক্তি করেছে। যাতে বাংলাদেশের ন্যুনতম কোন স্বার্থ নেই। সব স্বার্থ ভারতের। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে শেখ হাসিনা দেশকে ভারতের করদরাজ্যে পরিণত করার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা বাতিলের আন্দোলনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সংহতি প্রকাশ

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে চলমান সাধারণ শিক্ষর্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন ইসলামী ছাত্র

ভারতকে অবৈধভাবে ট্রানজেট দেয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার খুলনায় ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল

এম শাহরিয়ার তাজ, খুলনা প্রতিনিধি: বর্তমান সরকার অবৈধভাবে ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার প্রতিবাদে আগামী ৫ জুলাই

  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৩:৫২ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১২:০৭ অপরাহ্ণ
  • বিকাল ১৬:৪২ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৮:৫৪ অপরাহ্ণ
  • রাত ২০:২০ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ