মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর তালেবান আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তালেবানকে বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ‘বেশি কিছু’ করতে পারে না উল্লেখ করে পেন্টাগনের শীর্ষ কর্মকর্তা (মুখপাত্র) জন কিরবি বলেছেন, দেশটির ভাগ্য এখন আফগানদের হাতেই। এটা তাদের সংগ্রাম। আরব নিউজ।
লড়াইরত আফগান সরকারি বাহিনীকে ওয়াশিংটন সমর্থন দেয়া অব্যাহত রাখবে কি না -এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তালেবানের ক্রমবর্ধমান শক্তিশালী হয়ে ওঠাতে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের সরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তালেবান ও আফগান সরকারের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, তালেবানের হাতে এখন দেশের উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণের ছয়টি প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। প্রতিনিয়তই সংখ্যাটি বাড়ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে তালেবান যখন এসব জায়গা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছিল, তখন সেখানে আফগান বাহিনীকে সহায়তা করতে ডজনখানেক বিমান হামলা চালিয়েছে ওয়াশিংটন। এ বিষয়ে পেন্টাগনের কর্মকর্তারা জানান, এর চেয়ে বেশি আক্রমণ চালানোর ব্যাপারে তারা নতুন কোনো নির্দেশনা পাননি।
জন কিরবি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের যুদ্ধ শেষ করতে এখন কূটনৈতিক চ্যানেলের ব্যবহারকে উৎসাহিত করবে। ওয়াশিংটন বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদকে কাতারে অবস্থিত তালেবানের প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। উদ্দেশ্য, তালেবানকে চাপ দিয়ে রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসা।
কিন্তু বর্তমান অবস্থায় আফগান সরকারি বাহিনীকে সমর্থন করার জন্য ওয়াশিংটন সামরিক বাহিনী ব্যবহার করবে কিনা জানতে চাইলে কিরবি বলেন, সেখানে তাদের সামরিক বাহিনী আছে, এগুলো তাদেরই প্রাদেশিক রাজধানী। আর তারা সে নেতৃত্বের কাছেই যেতে চাইছে, যাদেরকে তারা চাইছে।
এদিকে তালেবান মুখপাত্র মুহাম্মদ নায়েম ওয়ার্দাক গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আফগান সরকারি বাহিনীর সহায়তা বা সমর্থনে কোনো কিছুই মোতায়েন করা যাবে না।