দলীয়ভাবে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন বর্জন করা হলেও নির্বাচনী এলাকায় গ্রেফতার ও ভয়ভীতি দেখাতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দলের নেতাকর্মীদের বাসায় হানা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল সোমবার দলের পক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই অভিযোগ করেন।
যদিও দলটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠানোর আগেই দুপুরে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত উপনির্বাচন স্থগিত করছেন হাইকোর্ট। দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচন আগামীকাল (২৮ জুলাই) হওয়ার কথা ছিল।
উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পুলিশ হয়রানি করছে-এই অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী কর্তৃত্ববাদী সরকার ও অথর্ব নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জনগণের ভোটাধিকার হরণসহ সমগ্র নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করার প্রেক্ষাপটে বিএনপি জাতীয় সংসদের আসন্ন সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচন বয়কট করেছে। এই প্রেক্ষিতে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করছে না। এরপরও সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে সরকার তাদের অনুগত প্রশাসন দিয়ে ওই নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে গত রোববার থেকে বাসাবাড়িতে হানা দিচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নেতাকর্মীদের বাসায় না পেয়ে তাদের পরিবার-পরিজনকে হুমকি-ধামকি এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। গত ১২ বছর ধরে বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগ সরকারের যে নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে সিলেটের ঘটনা সেটিরই ধারাবাহিকতা।
সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন মোকাবেলার লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এই মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কর্তৃত্ববাদী একদলীয় শাসনের অবসান ঘটাতে হবে। নইলে এদেশ থেকে দুর্দিন কখনো দুরীভূত হবে না। অবিলম্বে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ এলাকায় বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানান তিনি।