সাইফুল ইসলাম,টাঙ্গাইলঃ– টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার টেন্ডার বা কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়াই সড়কের সরকারি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত এক সপ্তাহে সখীপুর-কচুয়া সড়কের ভাইভাই সিনেমা হল এলাকায় ৩৫ বছর বয়সী নয়টি মেহগনি গাছ ইতিমধ্যে কেটে বিক্রি করা হয়েছে। কোটি টাকা মূল্যের আরও দুই শতাধিক গাছ কাটার প্রক্রিয়া চলছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, টেন্ডার ছাড়া সরকারি গাছ কাটা রীতিমত অন্যায়। এ বিষয়ে আমি থানায় ডায়রি করব। সখীপুর পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলার ১০ পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সখীপুর পৌরশহরের মোখতার ফোয়ারা চত্বর থেকে ভাইভাই সিনেমা হল এলাকা পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কের ধারে এক কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। এক কোটি ৭১ লাখ টাকার কাজটি করছেন মেসার্স জেএস কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি সংস্থা। এক কিলোমিটার সড়কে ড্রেন নির্মাণ করতে হলে কমপক্ষে দুই শতাধিক গাছ কাটতে হবে। গত এক সপ্তাহ আগে ওই ড্রেন নির্মাণ করতে গিয়ে পৌরসভার মেয়র নয়টি ৩৫ বছর বয়সী মেহগনি গাছ কেটে বিক্রি করেন। গত ১০দিন ধরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিদেশে প্রশিক্ষণে থাকার সুযোগে টেন্ডার ছাড়াই মেয়র এসব গাছ কাটায় স্থানীয়রা সমালোচনা শুরু করেছেন।
স্থানীয়দের ধারনা ওই নয়টি গাছের মূল্য আনুমানিক দুই লাখ টাকা। কোটি টাকা মূল্যের আরও দুই শতাধিক গাছ কাটার প্রক্রিয়া চলছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। মেসার্স জেএস কনস্ট্রাকশনের ঠিকাদার জাহিদুল ইসলাম জানান, গাছ কাটা ছাড়া ড্রেন নির্মাণ করা সম্ভব নয়। নয়টি গাছ মেয়র মহোদয় কেটে নেওয়ায় ড্রেনের কাজ করা হচ্ছে। আরও শতাধিক গাছ কেটে দিলে বাকি কাজ করা হবে।
সখীপুর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ সাংবাদিকদের জানান, কয়েকটি মরা গাছ কেটে ড্রেন নির্মাণের কাজ সচল করে দেওয়া হয়েছে। বাকি গাছ টেন্ডারেরমাধ্যমে কেটে ড্রেন নির্মাণ করা হবে। সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আলম বিদেশে প্রশিক্ষণে থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। সখীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল লেবু বলেন, টেন্ডার ছাড়া সরকারি গাছ কাটা অন্যায়। আমি শুনেছি বড় বড় নয়টি গাছ কেটে মেয়র বিক্রি করেছেন। আমি এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করব।