ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন অনুষদটির অধিকাংশ শিক্ষক। ‘ঘ’ ও ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিলে ডিনস কমিটির সুপারিশের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি অনুষদের শিক্ষকরা। একাডেমিক কমিটির মাধ্যমে যুক্তি তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গত রোববার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির এক সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ঘ ইউনিট ও চারুকলা অনুষদভুক্ত চ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সভায় উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের প্রস্তাবের আলোকে এ সিদ্ধান্তটি হয়।
তবে উপাচার্যের এই যুক্তিকে অযৌক্তিক মনে করেন সাবেক উপাচার্য এ কে আজাদ চৌধুরী। বলেন, ভর্তিচ্ছুদের অপশন কমানো মানে তার জ্ঞান আহরণের সিদ্ধান্তকে হত্যা করা।
তিনি মনে করিয়ে দেন, বিশ্ববিদ্যালয় মানে মুক্ত চিন্তার অবারিত দুয়ার দিয়ে সামনে এগিয়ে চলা। পেছনে হাঁটা নয়।
উপাচার্য প্রস্তাব করেন, উচ্চমাধ্যমিকে শিক্ষার্থীরা যে তিন ধারায় (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) পড়াশোনা করেন, তার আলোকেই তিনটি ইউনিট করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ঘ ও চ ইউনিট বন্ধ হবে। সভায় বিষয়টি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা হয়। সেখানে বেশির ভাগ ডিন উপাচার্যের প্রস্তাবের পক্ষে মত দেন। তবে একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনার পর বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
সাদেকা হালিম বলেন, ‘ডিনস কমিটির রোববারের সভায় উপাচার্যের ওই প্রস্তাবের বিষয়ে আগে থেকে আমরা কিছুই জানতাম না। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষকেরাও এমন প্রস্তাবে আশ্চর্য হয়েছেন। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সভা ডাকার চাপ ছিল। এই সভায় জ্যেষ্ঠ শিক্ষকেরা সুচিন্তিত মতামত দিয়েছেন। অনুষদের স্বাতন্ত্র্যের পক্ষে এই সম্মিলিত সিদ্ধান্তটিই একাডেমিক কাউন্সিলে দেওয়া হবে। শিক্ষকেরা বলেছেন, আমরা বিকল্প খুঁজতে পারি এবং পরীক্ষা-প্রক্রিয়ার আধুনিকীকরণ করতে পারি।’