নৈশ ভোটে দখল করা পাঁচটি আসনের উপ নির্বাচন বিনা ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মৃত্যুজনিত কারণে পুনরায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ঢাকা ৫ , নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ ও পাবনায় ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। এর ভিতর ঢাকা ১৮ আসনে নৈশকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কন্যা পুতুলকে প্রার্থী করার কথা রয়েছে।পুতুল প্রার্থী হলে সেখানে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা ভিপি নুর প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। নূরের এই ঘোষণায় সরকারকে বেশ বিব্রত হতে দেখা গেছে। অন্য আসনগুলোতে প্রার্থীদের চূড়ান্ত নাম ঘোষণা করলেও ১৮ আসনে তারা আরো ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত অনমনীয় থেকেও নূরের কোটা সংস্কার আন্দোলনের কাছে সরকার ও ছাত্রলীগ দারুণভাবে পরাজিত হয়েছে। ব্যাপক ভোট কারচুপি করেও ভিপি ও আরো কিছু পদে নূরের কাছে হেরেছে ছাত্রলীগ। এর জেরে ছাত্রলীগের দুই প্রভাবশালী নেতা শোভন ও রাব্বানী তাদের পদ হারিয়েছে। ছাত্র অধিকার পরিষদ ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দল খুলে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সাথে সাথে তারা ভোট ডাকাতির প্রতিরোধেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে। সরকারের আশঙ্কা বিএনপি-জামায়াতের ব্যাকআপে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ষড়যন্ত্র করছে নুর। যদিও নুর এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। কাজেই অধিকার পরিষদ এবং ভিপি নুর সরকারের দুশ্চিন্তার বড় কারন।
সরকারের বিতর্কিত নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে পূর্বঘোষণা থাকায় বিরোধী দলগুলোর এই উপ নির্বাচন নিয়েও কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
তবে আমার মতে, ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের নতুন উপলক্ষ হিসেবে সবগুলো বিরোধী দলের এই পাঁচটি উপনির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা উচিত। নির্বাচন যেমনই হোক সেই নির্বাচনকে প্রতিহত করতে হলে নির্বাচনই একমাত্র বিকল্প। নির্বাচন ও আন্দোলন ছাড়া মানুষের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করা অন্য কোন উপায়ে সম্ভব নয়। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাদের রাজনৈতিক আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। সরকারকে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার সুযোগ করে দেয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অংশগ্রহণ করে। কিন্তু সেই নির্বাচন নজিরবিহীন নৈশকালীন ভোট ডাকাতির মাধ্যমে এবং বিরোধীদলের নির্লিপ্ততায় আওয়ামী লীগ হাইজ্যাক করে নেয়। প্রথম নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার খেসারত স্বরূপ বিএনপি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ভোট ডাকাতি ঠেকানোর সামর্থ্য হারিয়ে ফেলে। তবে ওই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার জনগণ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রশাসন নির্ভরতার কারণে পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে সরকার এখন অনেকটা জিম্মি।
৩০ শে ডিসেম্বরের তিক্ত অভিজ্ঞতা স্মরণ করে এই পাঁচটি উপনির্বাচন বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দিয়ে বিরোধী দলগুলোর কোন ফায়দা নাই। কেননা ক্ষমতায় থাকার জন্য এখন আওয়ামী লীগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার লজ্জাস্কর ভয়ঙ্কর পলিসি করছে। কাজেই বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে বিরত থাকলে এটা হুদার নির্বাচন কমিশন এবং ভোট ছাড়া ক্ষমতা ধরে থাকা আওয়ামী লীগের জন্য লজ্জাশরমের কোন কারন হবে না। উল্টো তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিশ্চিন্তে এই পাঁচটি আসনের মালিকানা পেয়ে যাবে। এজন্য বিরোধী দল নির্বাচনে না আসলে সরকার বরং খুশিই হবে। তলে তলে সরকার সেটাই চায়। সরকারকে এভাবে জিতিয়ে দেয়া বিরোধী দলগুলোর আরেকটি ভুল রাজনীতি হবে।
চোরের যেহেতু লজ্জা নাই; সেহেতু চোরকে ছেড়ে দিলেও কিছু লাভ নাই। অন্তত চোরকে হাতেনাতে ধরার সুযোগ তৈরি হবে। অন্যদিকে এই উপ-নির্বাচন গুলোতে অংশ নিয়ে ঝিমিয়ে পড়া বিরোধীদলগুলো পুনরায় চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে।
আওয়ামী লীগ এখন নানাভাবে কোণঠাসা। ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা শুনে ঢাকা ১৮ আসনের নির্বাচন পুনরায় পিছিয়ে দিয়েছে সরকার। ছাত্র অধিকার পরিষদ রাজনীতি করার ঘোষণা দিলে তাদের ঠেকানোর জন্য নির্বাচন কমিশন নতুন দল নিবন্ধনের ইচ্ছামত শর্ত দিয়ে রেখেছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের সাথে ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। ইতোমধ্যে চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা তৈরি হওয়ায় ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারত এমনিতেই এখন কঠিন কূটনীতিক সমস্যায় জর্জরিত। চিনের সাথে লাদাখে একটি ছোটখাটো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং সেখানে তাদের বেশকিছু সৈন্য খোয়ায়। কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সাথে নতুন করে ভারতের বৈরী সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। নেপালের সাথে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে চীনমুখীতার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি করে সরকার ও ভারত বাংলাদেশে নতুনভাবে সমালোচিত হয়েছে। এদিকে ইমরান খানের সাথে শেখ হাসিনার টেলিফোন সংলাপে ভারত নতুনভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। বাবরি মসজিদ কে কেন্দ্র করে ভারতের ৩০ কোটি মুসলমানের বিরাগভাজন হয়েছে মোদি সরকার। কংগ্রেস, মমতা ব্যানার্জি এবং মুসলিম ও বাম দলগুলো একযোগে মোদির বিরুদ্ধে কাজ করছে। কাজেই ভারত ও মোদী সরকার ও ভারতীয় কূটনীতি এবং গোয়েন্দা সংস্থা এখন নিজেদের ঘর সামলাতেই পুরোদস্তুর ব্যস্ত সময় পার করছে। আওয়ামী লীগকে নিয়ে ভাববার তার সময় ও সুযোগ কম। এর ভিতর চীন ঘটালো আরেক বেরসিক কান্ড। তারা জাতীয় শোক দিবসের দিন আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি চেয়ারপারসনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা উপহার পাঠিয়েছে। এটার পিছনে নিশ্চয় তাৎপর্যপূর্ণ কোন ইঙ্গিত আছে।
শাহেদ, সাবরিনা, প্রদীপ কান্ডে সরকার এখন সেনাবাহিনী প্রশাসন ও জনগণের ত্রিমুখী চাপে আছে।
ওসি প্রদীপ ও দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের লোমহর্ষক খুন-খারাবি এবং সীমাহীন দূর্নীতির খবর বেরিয়ে পড়লে পুলিশ প্রশাসন জনগণের কাছে প্রচুর ইমেজ সংকটে পড়ে গেছে।
এমতাবস্থায় উপনির্বাচন গুলোতে প্রশাসন আওয়ামী লীগকে কতটুকু সাপোর্ট দিবে প্রশাসনে নিশ্চয়ই তেমন একটি ভাবনা আছে।বিরোধী দলগুলো যদি শক্তভাবে এখানে অংশগ্রহণ করে তাহলে পুলিশ হয়তো চাইবে কিছুটা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে জনগণের চলতি ক্ষোভ প্রশমন করতে। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তলে তলে সেনাবাহিনীর সাথেও সরকারের কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের সংগঠন রাওয়া বেশ শক্ত ভাবেই এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছে এবং এর বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী কে আল্টিমেটাম বেঁধে দিয়েছে। সেনা বাহিনীর সাবেক কোন কোন অফিসার সেনাপ্রধান ও সরকারের বিরুদ্ধে বোমা ফাটানো মন্তব্য করছেন।
যেহেতু শুধু পাঁচটি জায়গায় উপনির্বাচন হবে দেশের সবগুলো মিডিয়া আন্তর্জাতিক মহল এবং দেশের জনগণের সজাগ দৃষ্টি থাকবে সেদিকে। এখানে ৩০ শে ডিসেম্বর এর মত নৈশকালীন নির্বাচন কিংবা ভোট ডাকাতি করা সহজ হবে না।
কাজেই বিরোধী দলগুলোর উচিত এই সমীকরণগুলো মাথায় নিয়ে শক্তভাবে এই নির্বাচনে পৃথক পৃথক প্রার্থী দেয়া। মনে হচ্ছে ছাত্র অধিকার পরিষদ সবগুলিতেই তাদের তরুণ প্রার্থী দিয়ে আলোচনায় আসতে চাইবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো প্রার্থী ও জনসমর্থন এবং সংগঠন এই পাঁচটি জায়গাতেই শক্তিশালী আকারে আছে। ইসলামী আন্দোলন নির্বাচনমুখী দল। স্থানীয় সরকার নির্বাচন সহ বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তারা বেশ আলোচিত হয়। গত সংসদ নির্বাচনে এককভাবে সর্বোচ্চ ২৯৯ জন প্রার্থী দিয়ে রাজনীতিতে নিজেদের উত্থান জানান দিতে পেরেছে তারা। এই আসনগুলোতে বিজয়ী না হলেও জয় পরাজয় গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হওয়ার মত যথেষ্ট ভোটব্যাঙ্ক আছে তাদের। বিএনপির সঙ্গে জোটগত প্রার্থী না দিয়ে বিএনপির শরিক দলগুলো পৃথকভাবে নির্বাচনের কৌশল নিতে পারে।
যাতে কেন্দ্রে বিরোধীদলগুলোর লোকবল এবং উপস্থিতি বৃদ্ধির মাধ্যমে শক্তি বাড়ানো যায়। প্রত্যেক দল কেন্দ্র থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই পাঁচটি উপনির্বাচনকে মনিটরিং করবে।
ভোটের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিরোধীদলগুলো প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে ওই আসনগুলোতে এবং সারাদেশে দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে চাঙ্গা করে তুলতে পারবে। এবং শেষ দিকে গিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে বিরোধী দলগুলোকে স্থানীয়ভাবে প্রার্থীদের নিজেদের মাঝে “ছাড় দেয়ার কৌশল” অবলম্বন করতে হবে। অর্থাৎ কোনো জোট কিংবা রাজনৈতিক সমঝোতা অথবা প্রার্থিতা প্রত্যাহার নয়; বরং উপনির্বাচনে একটি আসনে অন্য সবগুলো দল একজন প্রার্থীকে ছাড় দিবে। এবং নির্বাচনের দিন বিরোধী দলগুলোর সর্বাত্মক সমর্থন এবং শক্তি ব্যয় করা হবে ওই ছাড় দেয়া প্রার্থীর পক্ষে। উদাহরণস্বরূপ পাঁচটি আসনে ইসলামী আন্দোলনের গড়ে ৩০-৪০ হাজার করে ভোট আছে। পাঁচটি আসনের প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে তারা তিনটি আসন অন্যদের ছাড় দিয়ে দুইটি আসন ছাড় নিতে পারে। এটার জন্য তাদের জোট করতে হবে কিন্তু আদর্শিক প্রশ্নে আপস করতে হবে বিষয়টা এমন না। বরং এটা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রার্থীদের নিজেদের মাঝে বিজয়ের সম্ভাবনা কে উজ্জ্বল করার জন্য “নির্বাচনী ছাড় দেয়া” মাত্র। রাজনীতি ও নির্বাচন এর যুদ্ধে আদর্শিক রাজনৈতিক অধিকার ছাড়াও এ ধরনের স্থানীয় ও সামরিক কৌশল দলের একলা চলো নীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। বরং তাদের রাজনীতিকে খানিকটা চাঙ্গা করবে।
এই পাঁচটি নির্বাচনে বিরোধী দলগুলো যদি বিজয়ী হয়ে আসতে পারে তাহলে এটা হবে আওয়ামী লীগের গালে একটি চপেটাঘাত। এতে নৈশকালীন সরকার মনোবল হারিয়ে ফেলবে।
আর যদি নৈশকালীন নির্বাচনের মতো এখানেও সরকার অবৈধভাবে দখল করে নেয়; তাহলে বিরোধী দলগুলোকে সম্মিলিতভাবে দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে হবে।
রাজনীতিতে শেষকথা এবং হতাশা বলে কিছু নাই। রাজনীতিতে চিরস্থায়ী বন্ধু এবং চিরস্থায়ী শত্রু বলেও কিছু নাই। এই কথাগুলোকে অনেকে নেতিবাচক ভাবে উপস্থাপন করেন। কিন্তু রাজনীতির বিষয়টা এমনই। এখানে পরিবেশ পরিস্থিতি সবসময় একরকম যায় না। বর্তমান সময়টাকে মাথায় নিয়েই রাজনীতির নিত্য নতুন পলিসি গ্রহণ করতে হয়। রাজনীতি করতে হয় বর্তমান কে ধারণ করে। অতীতের জন্য দুঃখবোধ না করে অতীতের ব্যর্থতায় গ্লানিবোধ না করে বর্তমান বাস্তবতাকে যদি সঠিক পরিকল্পনায় মোকাবেলা করা যায় তাহলেও রাজনীতিতে সাফল্য আসে।
কখনো কখনো বিশাল অগ্নিকুণ্ড একটি কাঠের টুকরো জ্বালাতে পারে না। আবার কখনো কখনো সামান্য একটি ম্যাচের কাঠি কিংবা একটি ছোট অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বিশাল বন জ্বালিয়ে ছারখার করে দিতে পারে।
হয়তো এই পাঁচটি উপনির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের দুর্বার আন্দোলন গড়ে উঠতে পারে। বিরোধী দলগুলো যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে সেই সম্ভাব্য সুযোগটি তারা হাতছাড়া করবে।
সবচেয়ে বড় কথা যেমন হোক কোনো নির্বাচন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছেড়ে দেয়া উচিত নয়।
“Leave no stone unturned”ইংরেজি সাহিত্যের একটি সুপরিচিত প্রবাদ। অর্থাৎ শিকারে সফলতা পেতে সব ঢিল ছুড়ে মারো।
জনগণের উপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা স্বৈরাচারী অপশাসন দূর করতে বিরোধী দলগুলোর সম্ভাব্য সব কৌশল অবলম্বন করা উচিত। কোথাও অভিমান করে সরকারকে বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দিলে অপশাসনের এই দৈত্য আরো ভালো করে জেঁকে বসবে। ২০১৪ সালে নির্বাচন বয়কট না করলে আজকের পরিস্থিতি এতটা খারাপ হত না বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। কাজেই পাঁচটি উপ নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলগুলোর ভিন্ন ভাবে ভেবে দেখা উচিত।
সাবেক ছাত্রনেতা, মানবাধিকার কর্মী ও রাজনীতি বিশ্লেষক।