কুয়েতে আটক হওয়া বাংলাদেশি সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের কারাবাসের মেয়াদ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে কুয়েতের আদালত। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, মানবপাচার, মানি লন্ডারিং ও ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে আটক পাপুলকে আরও অন্তত দুই সপ্তাহ কেন্দ্রীয় কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
এই সংসদ সদস্যের আইনজীবীর আরজি ছিল যে কোনো শর্তে জামিন আদায়ের। কিন্তু পাপুল আচমকা রিমান্ডকালে দেওয়া স্বীকারোক্তি পুরোটাই অস্বীকারের চেষ্টা করেন। দাবি করেন, কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারো সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বা লেনদেনের কোনো সম্পর্কই ছিল না!
তার এই চালাকিতে কুয়েতি আদালত একেবারেই বিস্মিত হয়ে যায়। গোটা প্রসিকিউশনকে অবাক করে পাপুল তদন্ত বা রিমান্ডকালে দেয়া তার বক্তব্য বা স্বীকারোক্তি পুরোটাই অস্বীকার করার চেষ্টা করেন। কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারও সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বা লেনদেনের কোনো সম্পর্কই ছিল না বলে দাবি করেন। কিন্তু আদালত তার বক্তব্য আমলে নেননি। তাকে জামিন দেয়ার বিপরীতে আরও অন্তত দুই সপ্তাহ কারাগারে বন্দি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে পাপুলের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক হওয়া কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল শেখ মাজেন আল জাররা আল সাবাহকে তিন সপ্তাহের আটকাদেশ দেয় আদালত। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কুয়েতের আরও দুই নাগরিককে আরও দুই সপ্তাহের আটকাদেশ দেন আদালত।
গত ৬ জুন কুয়েতে সিআইডির হাতে আটক হন পাপুল। পরে তাকে রিমান্ডে নেয় সিআইডি। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পাপুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কুয়েত প্রশাসন। এ ঘটনায় দেশটির মানবসম্পদ বিভাগ এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ কয়েকজনকে বরখাস্ত করে।
