বৃহস্পতিবার | ৩ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি | ১৯ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | বর্ষাকাল | সকাল ৯:৩১

বৃহস্পতিবার | ৩ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি | ১৯ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | বর্ষাকাল | সকাল ৯:৩১

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের “জাতীয় সংলাপ” ঘিরে একটি পর্যালোচনা।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram
  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৩:৫০ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১২:০৬ অপরাহ্ণ
  • বিকাল ১৬:৪২ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৮:৫৪ অপরাহ্ণ
  • রাত ২০:২০ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৫:১৪ পূর্বাহ্ণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের “জাতীয় সংলাপ” ঘিরে সাবেক ছাত্রনেতা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুহাম্মদ তারিক হাসান একটি পর্যালোচনা করেন। পর্যালোচনাটি হলো-

১.পৃথিবীর সবদেশেই বিভিন্ন আদর্শ ও মতাদর্শের সংগঠন, লোকজন থাকে। তারা নিজেদের ‘আদর্শিক’ বলে একধরনের তৃপ্তির ঢেকুরও তোলে। আদর্শ ধরে রাখতে গিয়ে কেউ কেউ আদর্শবাদী হয়ে পড়েন। ‘আদর্শিক’ ‘আদর্শবাদ’ দুটোকে ভিন্ন ক্যাটাগরিতেই আমি রাখবো। ‘আদর্শবাদী’ হতে গিয়ে নির্দিষ্ট কোনো দল অন্য সব দলের বিরুদ্ধে ডিহিউম্যানাজড ন্যারেটিভ দাঁড় করায়। মানে আমি বাদে অন্য সবাই ভুল। এটা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ নাম দিয়ে কারা আদর্শবাদী হয়ে উঠেছে সেটা হয়ত আর ব্যাখ্যা করা লাগবে না-সহজেই বোধগম্য।

‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’ নিজেদেরকে একটা ‘আদর্শিক’ দল হিসেবে দাবী করে। এই ‘আদর্শিক’ হতে গিয়ে তারা যে গতানুগতিক আদর্শবাদী থেকে জাতী এবং রাষ্ট্রের সামগ্রিক স্বার্থের নেতৃত্ব গ্রহণে উপযোগী তারই জলজ্যান্ত প্রমান হলো ইতিপূর্বে ঘটে যাওয়া-জাতীয় সংলাপ। যেখানে রাষ্ট্রের সর্বশ্রেণীর রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী ও বুদ্ধিজীবী পর্যায়ের লোকজনকে এক ছাদের নিচে নিয়ে এসেছিল ইসলামী আন্দোলন। জাতীর এই সংকটময় মুহুর্তে এটা যে কতবড় রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং উদারতার পরিচায়ক সেটা সচেতন ব্যাক্তিমাত্রই বোঝার কথা। তারা যে দেশ, জাতী, ধর্ম নিয়ে ভাবে-এই প্রোগ্রাম আয়োজন করা তারই বহিঃপ্রকাশ।

২.ইসলামী আন্দোলনের এই “জাতীয় সংলাপ” শিরোনামে সরকার বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপে একত্রিত হওয়া মানে সকলে জাতীয় স্বার্থ নিয়ে চিন্তিত। সকলে ঐক্য প্রয়াসী। আর এই ঐক্যে তারা ইসলামী আন্দোলনের প্রতি আস্থাবান। জাতীয় স্বার্থে ইসলামী আন্দোলনের আস্থা অর্জন অনেক বড় সফলতা। অথচ তাদের এই প্রচেষ্টা খুব সহজ ছিলো না। একেতো ইসলাম ও ইসলামপন্থাকে কোনঠাসা করার প্র‍য়াস একসময় ডান-বাম সব রাজনৈতিক দলেরই ছিলো। এমনকি এই ইসলামী রাজনীতিও পোস্টমডার্ন পলিটির যুগে বিভিন্ন সংকটে জর্জরিত ছিলো। সেখান থেকে আজকের জাতীয় স্বার্থে জাতীর গুণীজনদের আস্থা অর্জনের ঘটনাকে আমি বড় করেই দেখবো।

যেসময়ে জাতীর এই সংকটকালীন সময়ে নেতৃত্ব কাঁধে তুলে নেয়ার দরকার ছিল ‘বিএনপি’র সেসময় ইসলামপন্থী দলগুলোকে একপ্রকার দূরে ঠেলে দিয়েছিল বিএনপি। কারণ ছিল আমেরিকা জুজুর ভয়। অথচ সকল দলকে এক স্টেজে আমন্ত্রণ করে পরামর্শভিত্তিক একটা গণআন্দোলন গড়ে তোলা বিএনপি’র পক্ষে সম্ভব ছিলো। তারা সেটা করেনাই।

এই একত্রিত হয়ে সরকারবিরোধী শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের দাবীতে “জাতীয় সংলাপ” শিরোনামে সবাইকে আমন্ত্রণ করে একত্রিত করলো ইসলামী আন্দলন বাংলাদেশ। এটা ইসলামী আন্দোলন সরকারবিরোধীতায় ফ্রন্টলাইনে আসা এবং আগামী দিনে জাতীয় নেতৃত্ব কাঁধে নিতে প্রস্তুত একটি দল হিসেবে নিজেদেরকে চমৎকারভাবে উপস্থাপন।

৩. সংলাপে গুরুত্বপূর্ণ যে দাবীগুলো ছিল তারমধ্যে দুটো দাবী এমন
ক) ভোটাধিকার রক্ষা
খ) সিন্ডিকেট ভেঙে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য, ও পরিবহন খরচ ৩০ শতাংশ কমানোর সম্ভাবনা।
বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত দুটো দাবী। এই দাবী সম্ভাবনা থেকে বাস্তবায়ন পর্যন্ত ফলপ্রসূ করতে এখন পর্যন্ত সবাই “জাতীয় সংলাপে”একমত হয়েছেন। যেটা আশার কথা।

৪.বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো যেকোনো সাম্রাজ্যবাদের কঠোর বিরোধীতা করা। সেই সুবাদে ভারত হলো বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের হুমকিস্বরূপ সাম্রাজ্য বিস্তারকারী দেশ। ফলে ভারতবিরোধীতা আমাদের রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পাশাপাশি আমেরিকাও আমাদের কেউ না। এইসব সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর বিরোধীতা করে নিজেদের সার্বভৌমত্ব হেফাজত করার জন্য “জাতীয় সংলাপ” ছাড়া আর উপায় ছিল না। রাষ্ট্রের কাছে জনগন হলো সবকিছু। দেশ ও জাতীর জন্য জনগনকে একত্রিত করার যেকোনো প্রচেষ্টাকে আমি স্বাগত জানাবো। এরই ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক দলগুলো বৃহৎ স্বার্থে নিজেদের ইগো ভুলে গিয়ে, একত্রিত হয়ে দেশ ও জাতীর সামগ্রিক স্বার্থ রক্ষার্থে গণঅভ্যুত্থান গড়ে তোলা প্রয়োজন। এর বিকল্প নাই।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram

Leave a Comment

সর্বশেষ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

জণকল্যানমূলক ফাউন্ডেশনকে রক্ষায় চট্টগ্রামে মানববন্ধন 

নিজস্ব প্রতিবেদক – নগরীর বহদ্দারহাটস্থ আরাকান রোডে ওয়াহিদ ইলেকট্রিশিয়ান’স ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে সচেতন নাগরিক সমাজ ও ছাত্র জনতার ব্যানারে আজ সোমবার (৩০ জুন) বিকেল ৪টায় এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম এ. এম. ওয়াহিদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এতিমখানা বন্ধ করে সেখানে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ, ট্রেনিং সেন্টার গুঁড়িয়ে

২০ দফা দাবিতে শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মতবিনিময় ও স্মারকলিপি

গবেষণাবান্ধব শিক্ষা বাজেট প্রণয়নে প্রস্তাবিত বাজেটের ২০ শতাংশ এবং মোট জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দসহ ২০

শিক্ষা খাতে বাজেটের মোট জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দসহ ২০ দফা দাবি -ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ

আজ ২৫ মে ২০২৫ রোজ রোববার সকাল ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ইসলামী

  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৩:৫০ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১২:০৬ অপরাহ্ণ
  • বিকাল ১৬:৪২ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৮:৫৪ অপরাহ্ণ
  • রাত ২০:২০ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৫:১৪ পূর্বাহ্ণ