ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিট বা পিএমইউ প্রধান ফালিহ আল-ফাইয়াজ বলেছেন, দেশের মাটি থেকে মার্কিন সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলোর যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করবে না।
ইরাকের আশ-শারকিয়া স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অস্ত্র সমর্পণ করতে ইরাকের সশস্ত্র যোদ্ধাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু পরবর্তী সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত এবং দেশ থেকে আমেরিকার সমস্ত সেনা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এই অস্ত্র সমর্পণ করা হবে না।
ফাইয়াজ জোর দিয়ে বলেন, শিয়া নেতা মুকতাদা আল সদরের আহবানের প্রতি সম্মান জানিয়ে পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিট আগে অস্ত্র সমর্পণ করতে রাজি হয়েছিল কিন্তু প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর সঙ্গে সরকার কিংবা পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের কোনো সম্পর্ক নেই। এই সংগঠনটি আধ্যাত্মিক সংস্থা হিসেবে কাজ করে এবং পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের কাজে তারা কোনো হস্তক্ষেপ করে না।
ইরাকের জনগণের মধ্যে মার্কিন আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বিশেষ করে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানি এবং পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল মুহান্দিসকে হত্যার পর এই ক্ষোভ প্রচণ্ড আকার ধারণ করে।
ইরাকের বিভিন্ন প্রতিরোধকামী সংগঠন মাঝেমধ্যেই মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে। ইরাক থেকে মার্কিন সেনা বহিষ্কারের জন্য ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ইরাকের জাতীয় সংসদে একটি প্রস্তাব পাস হয়। তবে এ পর্যন্ত মার্কিন সরকার ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে তেমন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয় নি। সূত্র: পার্সটুডে