তুফফাহুল জান্নাত মারিয়া:
‘সেক্স করার পর কোনো নারীর প্রতি আমার কোনো আকর্ষণ থাকতো না। এরপর যেভাবেই হোক সেই প্রেম আমি ভেঙে দিতাম। আমার পায়ে ধরে কেঁদেছেও কেউ কেউ যাতে ছেড়ে না যাই কিন্তু আমার মন গলেনি৷ কেউ আত্মহত্যা করতে চাইতো, কেউ অভিশাপ দিত, কেউবা আমার মতই টাইম পাস করতো এতে আমার কিছুই যায় আসেনি৷ এদের কাউকে কাউকে অবশ্য আমি ভালোবেসেছিলামও৷ অন্তত একশো জন নারীর সাথে আমার শারীরিক সম্পর্ক ছিল।’
একজন অপরিচিত যুবকের কাছ থেকে এইটুকু শোনার পর আমার মাথা ঝিমঝিম করা শুরু করলো। হৃৎপিন্ড কৈ মাছের মত তড়পালো। ঘৃণা এবং বিরক্তি দুটোরই উদ্রেক হলো।
ইচ্ছে করছে অত্যন্ত জঘন্য ভাষায় গালি গালাজ করি৷ তবে যথাসম্ভব নিজের মনকে গালি গালাজের আস্তানা থেকে বের করে নিলাম। কী বলা উচিত বুঝে উঠতেও পারছি না। মাথার উপর ফ্যান ঘুরছে তবুও আমি ঘামছি দরদর করে।
প্রায় পনের মিনিট পর আমি রিপ্লাই দিলাম, কে আপনি? আপনার এইসব কুকীর্তি আমাকে বলার মানে কি?
তিনি ওপাশ থেকে ম্যাসেজ দিলেন, আপনি তো একজন রাইটার তাই না?
আমি বিরক্তির সাথে উত্তর দিলাম, তাতে কী?
প্রায় পাঁচ মিনিট পর উত্তর এলো, ইদানীং আমি ভীষণ অনুতপ্ত আমার কৃতকর্মের জন্য। কখনও ভাবিওনি আমার ভেতরে অনুশোচনা আসবে। আসলে কী জানেন অন্যায়ের অপর পৃষ্ঠায় সম্ভবত অনুশোচনাও থাকে কিন্তু আমরা টের পাই না যখন পাই তখন দেখি কূল কিনারাই নেই। এমন অনুশোচনা আমার ভেতর কেন এলো তাও আমি জানি না। সম্ভবত না এলেই ভালো হত এখন তো আমার দিনের আলোতে যেতেও ভয় লাগে। মনে হয় স্বচ্ছ আলোতে বুঝি আমার অন্যায় আরও স্পষ্ট হয়ে ধরা দিচ্ছে।
আমি মোটামুটি বিরক্তির সাথেই উত্তর দিলাম, কারো জীবন আঁধারে ডুবিয়ে দিলে আলো ভয় লাগাই স্বাভাবিক।
সে আবারও ম্যাসেজ দিল, এর থেকে পরিত্রাণের উপায় আছে?
ততক্ষণে আমি চরম মাত্রায় বিরক্ত। সিদ্ধান্ত নিলাম ব্লক দিয়ে দেব। তার কিছুক্ষণ পরই ভাবলাম যেখানে স্রষ্টাও তার সৃষ্টিকে শোধরানোর সুযোগ দেন, ক্ষমার অপার মহিমা নিয়ে বসে আছেন সেখানে একজন সামান্য মানুষ হয়ে আরেকজনের পথ রুখে দেয়া কি উচিত? আমি কি তাকে পরিত্রাণের উপায় বলব? আদৌ কাজ হবে? যে মানুষ এমন করে প্রতারণা করেছে তার কি শুধরে যাওয়ার সুযোগ আছে?
অনেককিছু ভাবলাম আনমনে, যে নিজের অন্যায় ধরতে পারে তার শুধরে যাওয়ার সুযোগ থাকে কিন্তু যে অন্যায়কে আজীবন নিজের যুক্তিতে স্বাভাবিকই মানতে চায় তার ক্ষেত্রে সম্ভাবনা কম।
আমি তাকে আবার লিখলাম, এর থেকে পরিত্রাণের একটা উপায় হচ্ছে যাদের সাথে অন্যায় করেছেন তাদের একটা লিস্ট করা। তবে আপনার মত যারা টাইম পাস করেছে তারা এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হবে না। ঠিক তাদের খুঁজে বের করুন যাদের আপনি ভালোবাসতেন এবং আপনাকেও যারা ভালোবাসতো। আপনি ছেড়ে যাওয়ার সময় ঠিক শেষ মুহূর্তে তাদের কথা কেমন ছিল বা কী আচরণ করেছিলো তা মনে করুন।
যে পা ধরে কেঁদেছিলো একইভাবে আপনাকেও তার পা ধরেই ক্ষমা চাইতে হবে৷ যে বলেছিলো, ‘ আমাকে ছেড়ে যেয়ো না মরে যাব’ তাকে বলবেন, ‘এভাবে প্রতারণা করলে কোনোদিন ভেতরে ভেতরে আমাকেই মরে যেতে হবে ভাবিনি’। এতে সম্ভাবনা আছে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে পারেন।
আমার এই পরামর্শ তার না মানার সম্ভাবনাই বেশি বুঝতে পারছিলাম তবুও হয়ত এজন্যই দিয়েছিলাম কারণ কাছ থেকে একজন ভুক্তভোগীর পরিণতি দেখলে অন্তত নিজের কৃতকর্ম আরও গভীরভাবে অনুভব করা সহজ হয়৷ যার সাথে আমরা অন্যায় করি জীবনের শেষ মুহুর্তে হলেও তার মুখ থেকে মানুষ শুনতে মরিয়া হয় ‘ আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি’।
কোনো রিপ্লাই এলো না। আমি বাঁকা হাসি হাসলাম। মনে মনেই ভাবলাম এসেছে শুধরে যেতে? এত সহজ নাকি?
এরপর আর কোনোদিন সেই আইডি থেকে কোনো ম্যাসেজ আসেনি। কিছুদিনের মধ্যে ব্যস্ততায় আমিও বেমালুম ভুলে গেলাম সব।
পায়ে শিকল দিয়ে কাঁঠালগাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে বত্রিশ বছর বয়সী এক মহিলাকে। চুল উষ্কখুষ্ক, গায়ে ময়লা, ছেঁড়া শাড়ি। কতক্ষণ সে হাসছে আবার কাঁদছে। বাচ্চারা এটা সেটা ছুঁড়ে মারছে আনন্দে। সেই পাগল মহিলা তেড়ে আসছে তখন ওদের দিকে। বাচ্চারা দৌড়ে চলে যায়। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে। আকাশে আজ ঝলমলে রোদ। কাঁঠালের ঘ্রাণে মাছি ভনভন করছে।
সৌরভ আর তিয়াসা নদীর পাড়ে বসে আছে। তিয়াসা আনমনে ঘাসফুল ছিঁড়ছিল। কেউ কোনো কথা বলছে না যেন সমস্ত কথা নদীর অতলে তলিয়ে গেছে অথচ একটা সময় ছিল এই মেয়েটার কথার তুবড়ি ছুটতো। হাসতে হাসতে লুটোপুটি খেত। সৌরভ বরং তখন অবাক হয়ে এই মেয়েটার হাসি দেখতো। কী মুগ্ধতায় সে আষ্টেপৃষ্ঠে মাকড়সার জালের মত আটকা পড়েছিল তখন!
এই মেয়েটা হাসলে ভালো লাগে বাচ্চা সুলভ দুষ্টুমি করলে ভালো লাগে। কখনও কষ্টে এই মেয়েটার চোখে জল এলে বিষাক্ত তীরের মত বিদ্ধ করতো ওর প্রেমিক হৃদয় । কী ঝলমলে চুল ছিল তিয়াসার! মাঝে মাঝে সৌরভ নাক ডুবিয়ে ঘ্রাণ নিতো সেই চুলের।
তিয়াসা হেসেই কুটিকুটি হয়ে বলতো, চুলের নিজস্ব কোনো ঘ্রাণ নেই মশাই। পুরোটাই শ্যাম্পুর ক্রেডিট।
আজ কত বছর পর দেখা। সেই ঝলমলে চুল আর নেই। নজরুলের গানের সাথে মিল রেখে বলা যাবে ‘ মলিন হয়েছে চোখেরও কাজল’।
সৌরভ নীরবতা ভাঙলো, এখনও বিয়ে করোনি যে?
তিয়াসা মুচকি হেসে উত্তর দিল, তুমি যদি ভেবে থাকো তোমাকে এখনও আমি ভালোবাসি এজন্য বিয়ে করিনি তাহলে সেটা তোমার ভুল ধারণা। মানুষ যাকে প্রচন্ড ভালোবাসে তাকে প্রচন্ড ঘৃণা করার ক্ষমতাও সে রাখে৷ কাউকে ভালোবেসে ঠকে গেলে সেই প্রতারকের প্রতি ভালোবাসার চেয়ে মানুষের ভেতরে বরং বিশ্বাস ভঙ্গের ভয় পেয়ে বসে।
সৌরভ, তুমি কি জানতে আমি কনসিভ করেছিলাম? অবশ্য তার অনেক আগেই তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলে। ইমার্জেন্সি পিল কাজ করেনি সেটা বুঝেছিলাম অনেক দেরিতে। ডাক্তার বললেন, এখন অ্যাবোরশন করাতে গেলে লাইফ রিস্ক হয়ে যাবে আমার কিন্তু কিছুই করার ছিল না।
গাইনোকলোজিস্ট যখন বাবুটার প্রত্যেকটা অর্গান কেটে কেটে বের করছিলো আমার মনে হচ্ছিলো এর চেয়ে বরং আমার মরে যাওয়াটা সহজ হোক।
সবার প্রথমে কাটা হয়েছিল হাত। কেমন ছোট্ট ছোট্ট আঙুল! সেই আঙুল দিয়ে নির্ভরতায় আমাদের আঙুল ছুঁতে পারতো। সবচেয়ে বিপত্তি ঘটলো মাথাটা বের করতে। প্রথমে চাপ দিয়ে মাথাটা ভেঙে গুড়ো গুড়ো করা হলো তারপর বের করা সহজ হলো।
সেই কাটা কাটা অঙ্গগুলো আমাকে রাতের পর রাত ঘুমাতে দেয়নি। বিনা অপরাধে তুমি আমাকে ছেড়ে গিয়েছিলে। কাঁদতে কাঁদতে ব্যাকুল হয়ে গিয়েছিলাম আমি। তখন বলেছিলাম, তোমার বাড়ির কুকুর মরে গেছে বলে তুমি নাকি কেঁদেছিলে। আমি কি তোমার বাড়ির কুকুরের চেয়েও মূল্যহীন?
কী পাষন্ডের মত আমার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলে। ওয়াশরুমের কল ছেড়ে চিৎকার করে কেঁদেছি, খেতে পারিনি, ঘুমাতে পারিনি। কী দুঃসহ সময় ছিল! তার থেকেও দুঃসহ সময় আরও কয়েক মাস পর টের পেলাম।আমার সাজা তো আমি পেয়েছিই অ্যাবোরশন করতে গিয়েই আমার ইউটেরাসে ইনফেকশান হয়। ডাক্তার জানান আমি কোনোদিনও আর মা হতে পারব না। বেঁচে থেকেও মরণ যন্ত্রণা ভোগ করি এখন।
তিয়াসার চোখে জল। কাঁপা গলায় বললো, কখনও কখনও নারীর চোখের জলে যন্ত্রণা লেখা হয় না, অভিশাপ লেখা হয়। সেই অভিশাপের হিসেব যিনি রাখেন সেই হিসেবে কেউ ঠকে না। আমি তোমাকে কখনও ক্ষমা করব না।
সৌরভের আর কিছু বলার ছিল না।
তালিকার প্রথম মেয়েটা তো কাঁঠালগাছে বেঁধে রাখা পাগল। তার মতামত জানার সুযোগ নেই৷ মাত্রাতিরিক্ত আবেগী ছিল, বিশ্বস্তও ছিল। সবার হয়ত সামলে নেয়ার ক্ষমতা থাকে না।
নাহার নামক এই মেয়েটা সরল সিধে ছিল। গ্রাম থেকে ভার্সিটিতে পড়তে আসা এই মেয়েটাকে প্রথমদিকে সৌরভ ভালোবাসতো কিন্তু হুট করে অন্য নারীর প্রতি আকর্ষণের জোয়ারে ওর প্রতি আবেগে ভাটা পড়লো। কতবার কতভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে বিনিময়ে অবহেলা আর অপমান ছাড়া কিছুই করেনি সৌরভ।
তারপর এত লম্বা সময়ে জানার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেনি বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে সে।
তালিকার তৃতীয় মেয়েটার সাথে সরাসরি দেখা করার সুযোগ পাওয়া গেল না। তবে অনেক কষ্টে ফোন নাম্বার যোগাড় করা গেল। সে একজন সরকারি কলেজের অধ্যাপক। ফোন রিসিভ করে কণ্ঠ চেনার পরই সাবিহা হেসে ফেললো, ‘ কি ভেবেছিলে বিথীর মত আত্মহত্যা করব?’
মৃত্যুর সময় সে ঠিকই লিখে গিয়েছিল ‘ আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’। মৃত্যুর আগেও মানুষের মিথ্যে কথা বলতে হয়? নাকি ভেবেছিলে পড়ালেখা, ক্যারিয়ার বাদ দিয়ে যাযাবর হব? হ্যাঁ সপ্তাহখানেক কেঁদেছি।
পোষা প্রাণি মরে গেলে, চলে গেলে যদি খারাপ লাগে, কান্না পায় একজন মানুষের জন্যও খারাপ লাগা স্বাভাবিক কিন্তু সেই খারাপ লাগাকে আমি প্রশ্রয় দেইনি।
নিজের জীবনকে গুছিয়েছি। আফসোস তো আমার সেই মেয়েদের জন্য যে এমন একটা চিটারের জন্য নিজের জীবন, ক্যারিয়ার সব নষ্ট করেছে। আমি তো তোমার নামে মামলাও করতে চেয়েছিলাম। শুধু মায়ের অনুরোধে আমি করতে পারিনি।
ও হ্যাঁ ভেবো না আমি তোমার জন্য দেবদাসী হয়ে বসে আছি। স্বামী সন্তান নিয়ে আমি সুখেই আছি। না, হাজব্যান্ডের সাথে আমি কোনো লুকোচুরি করিনি। আমি আমার অতীত বলেছি। সে আমাকে যতটা ভালোবাসে তার থেকেও বেশি শ্রদ্ধা করে। তোমার সাথে কথা বলাটা রুচিতে কুলাচ্ছে না। ফোন রাখতে পারো এবং আর কোনোদিন ফোন দেবে না সেই আশা রাখছি।
এদিক থেকে তালিকার চতুর্থ মেয়েটা ছিল হতভাগী। বেচারি স্বামী সন্তান নিয়ে সুখেই ছিল। তবে বিপত্তি ঘটে একদিন। তার স্বামী হুট করে বলে ফেললো, নীলা, একটা প্রশ্ন করি অতীত আর বর্তমান দুটোকে কখনও সমান করে ভালোবাসা যায় নীলা?
নীলা উত্তর দিল, অতীত আর বর্তমান দুটো ভালোবাসার ধরন আলাদা হলেও কখনও কখনও তার তীব্রতা একই।
ওর স্বামী মুচকি হেসে বলল, যতই যুক্তি দেখাও না কেন তোমাকে ছুঁতে আমার ঘৃণা লাগে।’
সে নীলার অতীত জেনে গিয়েছিলো কোনোভাবে।
বাচ্চার কথা ভেবে সে ডিভোর্স দেয়নি কিন্তু মানসিক আর শারীরিক দুটো দিক থেকেই আকাশসম দূরত্ব তৈরি হলো। কী দুঃসহ হয়ে উঠলো একেকটা দিন!
কোনো এক অজ্ঞাত কারণে কখনও কখনও হৃদয়ের শ্রেষ্ঠ জায়গাটুকু সে পেয়ে যায় যাদের কাছে ভালোবাসার মানুষের মূল্য ছুঁড়ে দেয়া কাগজের মত।
অন্য সবার সাথে যোগাযোগ করার মত সৌরভের আর মানসিক শক্তিটুকু অবশিষ্ট রইলো না।
মানুষ তাকে আঘাত করে শান্তি পায় যার কাছ থেকে ফিরতি আঘাতের সম্ভাবনা কম কিন্তু শান্তি কোথায় পেল?
একেকজনের নিদারুণ পরিণতি ভাবিয়ে তুললো ওকে । এই পৃথিবীতে হত্যার বিচার হলেও হৃদয়হত্যার বিচার নেই। তবে এই খুনীরা শেষমেশ নিজেকে নিজেই সাজা দেয়। হত্যার সময় ভাবে না কোনোদিন এমন করে সাজা পেতে পারে।
বেশ কয়েক বছর পর আমার ঠিকানায় কুরিয়ার করে একজন ডায়েরি পাঠালো । ডায়েরি ভর্তি লেখা। যিনি ডায়েরি পাঠিয়েছেন তিনি দুস্থ বাচ্চাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে নির্মিত একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান। ভদ্রলোক বিয়ে করেননি এবং কখনও সাংসারিক জীবনে ফিরে যাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ছোট্ট একটা চিরকুটের মাধ্যমে তিনি অনুরোধ করেছেন আমি যেন একটা গল্প লিখি তাকে নিয়ে ।
চিরকুটের শেষে নাম লেখা ছিল আরিয়ান সৌরভ।
আমি তাকে নিয়ে একটা গল্প লিখলাম আর সেই গল্পের নাম দিলাম সমর্পণ।
★বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই গল্পটি পুরোপুরি কাল্পনিক নয়। সাইকোলজিক্যাল গ্রুপ ” HAPPY DU” তে এক ছেলে তার এই ভয়ঙ্কর প্রতারণার কথা শেয়ার করে যে কিনা অন্তত একশো জন নারীর সাথে প্রতারণা করেছে তবে সে এখন অনুতপ্ত তার অতীত নিয়ে। সেই থিম নিয়েই গল্পটি লেখা হয়েছে। গল্পে নারী চরিত্র আমার নিজের মত করে লেখা হলেও বাস্তবের সেই নারী চরিত্রগুলোর সাথে গল্পের চরিত্র খুব বেশি পার্থক্য হবে বলে মনে করি না।
লেখক: শিক্ষার্থী, উদ্ভিদবিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এন.এইচ/