প্রথমবারের মতো পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে কোনো ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এর মতো শুরু হচ্ছে কাশ্মীর প্রিমিয়ার লিগের (কেপিএল) প্রথম আসর। বিদেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে প্রবেশ পথে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই সিদ্ধান্তের কারণে ইতিমধ্যেই
বিসিসিআই কে একহাত নিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
কাশ্মীর প্রিমিয়ার লিগের (কেপিএল) প্রথম আসরে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ছয়জন বিদেশি ক্রিকেটার অংশ নেওয়ার কথা ছিল। যে ছয়জন বিদেশি ক্রিকেটার খেলার কথা ছিল শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক তিলকারাত্নে দিলশান, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান হার্শেল গিবস, ইংল্যান্ডের ম্যাট প্রায়র, মন্টি প্যানেল, ফিল মাস্টার্ড ও ওয়াইজ শাহ।
কিন্তু কেপিএলের প্রথম আসরে বিদেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে প্রবেশ পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এর ফলে কেপিএলের বিদেশিদের খেলা হচ্ছে না। বিসিসিআই এর হুমকিতেও পাকিস্তান ও স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে কাশ্মীর প্রিমিয়ার লিগ (কেপিএল) টুর্নামেন্ট চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে আয়োজকরা।
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ বিসিসিআইয়ের হুমকির বিষয়টি তুলে ধরে শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে লিখেছেন, ‘বিসিসিআই ক্রিকেট বোর্ডগুলোকে সতর্ক করে দিচ্ছে যে, যদি কোন সাবেক ক্রিকেটারকে কাশ্মীর প্রিমিয়ার লিগে অংশ নিতে অনুমতি দেয়, তাদের ভারতে প্রবেশের বা ভারতীয় ক্রিকেটে কোনো স্তরে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে না।’
বিদেশি ক্রিকেটারদের কেপিএলে অংশগ্রহণে প্রবেশ পথে বিসিসিআইয়ের বাঁধা হয়ে দাঁড়িনোর বিষয়টি স্বীকার করে আয়োজক কমিটির এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বিসিসিআই দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের বোর্ডকে তাদের সাবেক ক্রিকেটারদের লিগে অংশ করতে নিষেধ করেছিল। তবে বোর্ডগুলো বিসিসিআইয়ের শর্ত মনে নিয়েছে। তাই বিদেশি ক্রিকেটারদের ছাড়াই স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে কাশ্মীর প্রিমিয়ার লিগ (কেপিএল) টুর্নামেন্ট চালিয়ে যেতে হবে।
প্রথম আসরে কাশ্মীর প্রিমিয়ার লিগ (কেপিএল) আগামী ৬ আগস্ট মাঠে গড়াবে। ১০ দিনের এই টুর্নামেন্টে অংশ নিবে মোট ৬টি দল। দলগুলো হলো, রাওয়ালকোট হকস, বাঘ স্ট্যালিয়েন্স, মুজাফফরাবাদ টাইগার্স, মিরপুর রয়্যালস, কোটলিউ প্যান্থার্স এবং ওভারসিস ওয়ারিয়র্স।