টিম টাইগার জিম্বাবুয়ে সফরে আছে। ১ টেষ্ট, ৩ ওয়ানডে ও ৩ টি-২০ খেলতে লম্বা সফরে আছেন তামিম বাহিনী। মুসলমানদের অন্যতম আনন্দের দিন আজ। পবিত্র ঈদুল আজহা। খ্রিস্টান প্রধান দেশে অবস্থান করলেও টিম টাইগারের সদিচ্ছায় ঈদ উদযাপনে ভাটা পড়েনি। পবিত্র ঈদুল আজহার ইমাম ও খতীবের ভূমিকায় ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সত্যিই এই দৃশ্য দেখে আমি আবেগাপ্লুত হয়েছি। আমাদের প্রাকটিকাল মুসলিমরা সাধারণত অনুকূল পরিবেশে থেকেও ধর্মকর্ম পালনে কতো ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে থাকি। অথচ খেলাধুলায় মগ্ন ধর্মীয় বিষয়ে তূলনামূলক কম জ্ঞান রাখা এসব নন প্রাকটিকাল মুসলিম সন্তানেরা সম্পূর্ণ প্রতিকূল পরিবেশে একটি খ্রিস্টান দেশে সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগে নিজেদের আয়োজনে ঈদের জামাত আদায় করেছেন। যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
এসব বিষয়কে সাপোর্ট করার জন্য ক্রিকেটকে মনেপ্রাণে সাপোর্ট করার প্রয়োজন নেই। মুসলমান হিসেবে অন্যান্য মুসলমানদের এমন প্রশংসনীয় কাজকে সাপোর্ট করতেই পারেন। উৎসাহ জোগাতে পারেন। এতে করে অনেকেই দ্বীন ধর্ম পালনে অজুহাত দেখানো থেকে সরে আসবে। ধর্মীয় ক্ষেত্রে মোটেও কোনো কম্প্রোমাইজের সুযোগ নেই সেটা মানতে শিখবে। ক্রিকেটারদের ফ্যান ফলোয়ারের কমতি নেই। ক্রিকেটারদের যুবসমাজের অনেকেই অনুসরণ করে। তাদের আইডল মানে যুগের জেনারেল শিক্ষিত যুবসমাজ৷ ক্রিকেটারদের এসব কাজে সেই যুবকরাও অনুপ্রানিত হবে।
আপনি যেখানেই থাকুন ইসলামের সাথে থাকুন। সর্বপ্রথম নিজের আত্মমর্যাদা ও ধর্মীয় পরিচয়কে প্রতিষ্ঠা করুন। ভুলে যাবেন না আপনি মুসলমান। আপনি পৃথিবীর যেখানেই থাকুন নিজদের ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণের ক্ষেত্রে কোনো অজুহাতের আশ্রয় নেওয়ার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। নামাজের জায়গা নেই? নিজেই জায়গা বানিয়ে নিন। মনে রাখবেন গোটা পৃথিবীই মুসলমানদের জন্য জায়নামাজ। ইমাম নেই? নিজেই ইমাম বনে যান। ইমামতির জন্য আলেম হওয়া শর্ত নয়। যিনি এই বিষয়ে অভিজ্ঞ তিনিই ইমামতি করতে পারেন।
লিখেছেন:
মুহাম্মাদ আলী আজম
সৌদি প্রবাসী ইমাম ও গ্রাজুয়েট, হাটহাজারী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়