আত্মপ্রকাশ করলো বেসরকারি পেশাজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রাইভেট এমপ্লয়িজ ফোরাম (বিপিইএফ)। সংবাদ সংস্থা ইউএনবি’র বিজনেস রিপোর্টার রফিকুল ইসলাম ও ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের ফার্স্ট সিনিয়র ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর এম মাহফুজুর রহমানকে যথাক্রমে আহবায়ক ও সদস্য সচিব করে ২১ সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। ফরম্যাল ও ইনফরম্যাল সব ধরনের সেক্টরে কর্মরত
কর্মকর্তা-কর্মচারিদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করবে এই ফোরাম।
শুক্রবার (৭ মে, ২০২১), বিপিইএফ আয়োজিত একটি ওয়েবিনারে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ সর্বসম্মতিক্রমে ওই কমিটি গঠন করেন। জিসান আল জুবায়ের (বিইউবিটি), শফিকুল ইসলাম (ইউএনবি) এবং আরিফুল ইসলাম (ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক) কে কমিটিতে যুগ্ম-আহবায়ক করা হয়েছে।
অন্য সদস্যরা হলেন, আরিফুর রহমান তুহিন (দেশ রূপান্তর), আফজাল হোসেন (ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড), রাজু আরাফাত (বাংলাদেশ প্রতিদিন), হান্নান মুহাম্মদ (আজকের পত্রিকা), কামাল হোসাইন (কালের কণ্ঠ), মোয়াজ্জেম
হোসাইন (স্যান্টার্ড গ্রুপ), মহিউদ্দীন তুশার (দৈনিক গণমুক্তি), গোলাম ইয়াসভির (এজেডএম হাসপাতাল লিমিটেড), জাহাঙ্গির আলম আনসারি (দ্য ট্রাইব্যুনাল), রাজিবুল ইসলাম (প্রতিদিনের সংবাদ), মো. কামরুজ্জামান
(দ্য কেওডব্লিউ কোম্পানি), শাহ আলম (বিজনেস টাইমস), কে এম শরীয়াতুল্লাহ (প্রেজেন্টনিউজ.নেট), ইলিয়াসুর
রহমান ফারাবি (আইনজীবী), এনামুল করিম (মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড), মো. ইলিয়াস মোল্লা (এসিআই লজিস্টিক)।
ইউএনবি’র বিজনেস রিপোর্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে দক্ষিণ এশিয়ায় রোলমডেল বাংলাদেশ। বিভিন্ন সেক্টর ঈর্ষণীয় উন্নতি করছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে দেশের বেসরকারি খাত অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এখানে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সুবিধা অনেক ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত। তাদের পেনশন ব্যবস্থা নেই। জব
সিকিউরিটি নেই বললেই চলে। মালিকরা ফুলে ফেঁপে উঠলেও শ্রম অধিকার খর্ব হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
তিনি বলেন, নীতি নির্ধারকদের উচিৎ বেসরকারি খাতে নিয়োজিত জনবলের স্বার্থ রক্ষায় অধিক মনযোগি হওয়া। তাহলেই কেবল টেকসই ও উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভব হবে বিপিইএফ প্রাইভেট সেক্টরের বিভিন্ন সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছে।
সদস্য সচিব ওয়ালটনের ফার্স্ট সিনিয়র ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর এম মাহফুজুর রহমান বলেন, প্রাইভেট সেক্টর অর্থনৈকিত উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে। কিন্তু এই সেক্টরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারিরা নানা সমস্যা জর্জরিত। বিদ্যমান আইনের তোয়াক্কা করে না অনেক প্রতিষ্ঠানই। ফলে নিগৃহীত ও মানবেতর জীবন-যাপন করেন এখানে কর্মরত মানুষ।
পাওয়ার এন্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের বরাত দিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এই কর্মকর্তা বলেন, কভিড-১৯ এর প্রভাবে জুন, ২০২০ থেকে মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত সময়ে নতুন করে ২ কোটি ৪৫ লাখ লোক দারিদ্র সীমার নিচে চলে এসেছে। গ্রাম ও নগরের মানুষের ঋণের বোঝা হয়েছে দ্বিগুন। সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ বা সিপিডি’র তথ্য মতে, গত বছর প্রায় ৬২ শতাংশ চাকরিজীবী তাদের চাকরি হারিয়েছে যাদের অধিকাংশই চাকরি হারিয়েছে এপ্রিল এবং মে মাসে। সুতরাং বেসরকারি খাতে কর্মরতদের প্রতি যথেষ্ট মনযোগ দেয়ার সময় এখনই।