লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। রবিবার (১৮ এপ্রিল) এ সুপারিশ করা হয়। এদিন রাতে এক ভার্চুয়াল সভায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসময় করোনার উচ্চ সংক্রমণ ও ক্রমবর্ধমান মৃত্যুতে সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরামর্শক কমিটি দুই সপ্তাহের পূর্ণ লকডাউন সুপারিশ করেছিল। ইতোমধ্যে এক সপ্তাহের লকডাউন দেওয়া করেছে। কমিটি এতে সন্তোষ প্রকাশ করলেও বৈজ্ঞানিকভাবে দুসপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফল আশা করা যায় না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সভা থেকে স্বাস্থ্য, ফায়ার সার্ভিস ও জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। জরুরি সেবার তালিকাও প্রকাশ করার কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। কাঁচাবাজার উন্মুক্ত স্থানে স্থাপনের পাশাপাশি এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করেছে কমিটি।
এদিকে পিসিআর টেস্ট কিটের দাম কমে যাওয়ায় বেসরকারি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষার মূল্য পূণনির্ধারণের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এতে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়বে, সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে সাশ্রয়ীমূল্যে পরীক্ষা করা যাবে।
অপরদিকে লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ সোমবার (১৯ এপ্রিল) সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সভা শেষ হলে জানা যাবে, লকডাউন আর কতদিন চলবে।
আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভায় সুপারিশের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য খাত থেকেও সময় বাড়ানোর পরামর্শ গেছে। সভায় সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা ছাড়াও ব্যবসা খাতের নেতা ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত থাকবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
এ প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, লকডাউন বাড়ানো দরকার। অন্তত আরো এক সপ্তাহ লকডাউন থাকলে পরিস্থিতি বোঝা যাবে বলে মনে করেন তিনি।