ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা উত্তরের সভাপতি হাফেয মাওলানা নজীর আহমাদ বলেছেন, মাতৃভাষা বাংলা এদেশের মানুষের জন্য আল্লাহর অপার এক নেয়ামত। মাতৃভাষায় কথা বলা সকলের জন্মগত অধিকার। সংখ্যাগুরু মানুষ তাদের মাতৃভাষায় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমসহ সকল ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ ঘটাবে,এটাই ন্যায়সঙ্গত। এই ন্যায্যতা অস্বীকার করে ভাষা সংগ্রামের সৈনিকদের প্রতি ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারীতে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী যে নির্মমতা চালিয়েছে, তা নজীরবিহীন জুলুম হিসেবে ইতিহাসে ঘৃণিত অধ্যায় হিসেবে পরিগণিত থাকবে।
আজ ২১ ফেব্রুয়ারী’২০২১ ইং (রবিবার) বাদ আসর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা উত্তরের উদ্যোগে সংগঠনের চৌমুহনী হকার্স মার্কেটস্থ জেলা কার্যালয়ে ‘বাঙ্গালী জাতির আত্মপরিচয় বিনির্মাণে বাংলা ভাষা চর্চার গুরুত্ব ও ভাষা শহীদদের মাগফিরাত কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে’ সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
হাফেয মাওলানা নজীর আহমাদ আরো বলেন, ভাষা সৈনিকদের আত্মত্যাগ আমাদের প্রেরণা ও পথচলার পাথেয়। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পরবর্তীতে আন্দোলন-সংগ্রামের ভিত রচিত হয়েছে। দেশ স্বাধীনতা সংগ্রামের ফলশ্রুতিতে স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা পরবর্তী শাসকদের উচিত ছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলাকে সর্বস্তরে প্রয়োগের মাধ্যমে ভাষা সৈনিকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। জাতির আত্মপরিচয় বিনির্মাণ করা। কিন্তু আমরা অব্যাহতভাবে লক্ষ্য করছি, ভিন জাতি তথা এদেশের অস্তিত্বের শত্রু ভারতীয় ব্রাহ্মণ্যবাদীদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে এদেশে অবাধে আমদানি করা হচ্ছে। এটি ১৯৫২ সালে ভাষার মর্যাদা রক্ষায় জীবন বিসর্জন দেওয়া সৈনিকদের প্রতি উপহাসেরই নামান্তর। এর মাধ্যমে দেশের কিশোর ও যুব সম্প্রদায়ের চরিত্র ধ্বংস করার ধারাবাহিকতা আয়োজন চালানো হচ্ছে। এই জাতি বিধ্বংসী তৎপরতা যদি সরকার শীঘ্রই বন্ধ না করে, তবে দেশের জাতীয় চেতনা বলে কিছু থাকবেনা। এদেশের যুব শ্রেণী ও উঠতি প্রজন্মের চিন্তাধারায় দেশপ্রেমের ঘাটতি আসবে, যা দেশের জন্য স্থায়ী ক্ষতির কারণ হবে।
জেলা সেক্রেটারি মাওলানা কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবদুর রহীম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দিন ইউসূফ, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মাদ আলাউদ্দিন, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা নূর আলম সিদ্দিকী সহ অন্যান্য জেলা দায়িত্বশীল, ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মুহাম্মাদ ইবরাহীম খলীলসহ জেলা ও অধঃস্তন শাখার ছাত্র, যুব ও শ্রমিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।